Advertisement
Advertisement
Ratna Bhandar

ওড়িশায় ভোটপ্রচারে মোদির মুখে পুরীর রত্নভাণ্ডার, কী আছে ওই রত্নভাণ্ডারে?

বহু বছর ধরেই ওড়িশার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পুরীর জগন্নাথ মন্দির এবং জগন্নাথ মন্দিরের রহস্যময় রত্নভাণ্ডার।

What is the mystery behind Puri Jagannath temple's Ratna Bhandar

ফাইল ছবি

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:May 21, 2024 5:02 pm
  • Updated:May 21, 2024 7:00 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহু বছর ধরেই ওড়িশার রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে পুরীর জগন্নাথ মন্দির এবং জগন্নাথ মন্দিরের রহস্যময় রত্নভাণ্ডার। সোমবার ভোটপ্রচারে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) রত্নভাণ্ডারের চাবির উল্লেখ করতেই ফের রাজনীতিতে ইস্যু হয়ে উঠেছে ওই রত্নভাণ্ডার।

কী এই রত্নভাণ্ডার? কী আছে তাতে?

Advertisement

মন্দিরের গোপন কক্ষে সাতটি ঘর আছে। সেই ঘরগুলিই হল রত্নভাণ্ডার। এই রত্নভাণ্ডারটি দ্বাদশ শতাব্দীর বলে মনে করা হয়। মন্দিরের রত্নভাণ্ডার শেষবার খোলা হয়েছিল ১৯৭৮ সালে। সম্প্রতি হাই কোর্টের নির্দেশে হলফনামায় মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মন্দিরে ১৫০ কেজি সোনার পাশাপাশি রয়েছে ১৮৪ কেজি রুপো। সাতের দশকের শেষেই যাবতীয় যাবতীয় অলঙ্কার গোনা হয়েছিল। ১৯৭৮ সালে শেষবার পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple) রত্নভাণ্ডারের খতিয়ান নেওয়া হয়েছিল। ১৯৮৪ সালে জগন্নাথদেবের মাথার রত্নচিতা ভেঙে যায়। সেই সময় শেষ রত্নভাণ্ডার খুলে সেখান থেকে কিছু পরিমাণ সোনা নেওয়া হয়েছিল। তারপর আর রত্নভাণ্ডার খোলার দরকার হয়নি।

[আরও পড়ুন: বিমানের ধাক্কা নাকি অন্য কারণ! মহারাষ্ট্রে ৩৬টি ফ্লেমিংগোর মৃত্যুতে বাড়ছে উদ্বেগ]

ওই রত্নভাণ্ডারে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার সোনার মুকুট-সহ প্রায় ১৫০টি সোনার অলঙ্কার-সহ মোট ৮৩৭টি জিনিস রয়েছে। তালিকা করার পর প্রায় ১০০ বছর পার হয়ে গেছে। এর মাঝে অবশ্যই অলঙ্কারের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে বিপুল পরিমাণ। রত্নভাণ্ডারে ঢুকতে না পারায় অলঙ্কারের সঠিক পরিমাণ এখন স্পষ্ট নয়। তবে রত্নভাণ্ডারের বিপুল রত্নের মাত্র ১০ শতাংশ জগন্নাথদেবকে পরানো হয় বলে জানা গিয়েছে।

২০১৮ সালে রত্নভাণ্ডারের মেঝে, ছাদ, দেওয়ালের অবস্থার যাচাই করার জন্য আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়াকে (ASI) দরজা খোলার অনুমতি দেয় ওড়িশা হাইকোর্ট। কিন্তু, আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, ওড়িশা সরকার ও জগন্নাথ মন্দিরের প্রতিনিধিরা কেউ রত্নভাণ্ডারে পৌঁছাতে পারেনি। তখনই জানা যায় ওই রত্নভাণ্ডারের চাবি পাওয়া যাচ্ছে না। পুরীর জগন্নাথদেবের রত্নভাণ্ডার খোলার জন্য দরকার মোট ৩টি চাবি। ১টি চাবি থাকে গজপতি রাজার কাছে, ১টি চাবি থাকে মন্দিরের সেবায়ত ভাণ্ডারে। আরেকটি অর্থাৎ তৃতীয় চাবি থাকে পুরীর জেলাশাসকের দায়িত্বে। এই তৃতীয় চাবিটি পাওয়া যাচ্ছে না।

[আরও পড়ুন: রাতভর উদ্দাম পার্টি, মাদকের নেশায় উল্লাস বিধায়ক-নায়িকাদের! চাঞ্চল্য বেঙ্গালুরুতে]

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী এই তৃতীয় চাবিটি হারানোর নেপথ্যের রহস্য নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। ওড়িশার বিজেডি (BJD) সরকারের ভূমিকা এক্ষেত্রে সন্দেহজনক বলে মনে করছেন মোদি। ওড়িশার জনমানসে জগন্নাথ মন্দির যেমন আবেগের জায়গা, তেমনি মন্দিরের রত্নভাণ্ডারও আবেগের জায়গা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement