BREAKING NEWS

১৩ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  রবিবার ২৮ মে ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

রাফালের জন্য কেন বেছে নেওয়া হল আম্বালা এয়ারবেসকেই, জানেন?

Published by: Monishankar Choudhury |    Posted: July 29, 2020 4:11 pm|    Updated: July 29, 2020 7:27 pm

Why Ambala chosen as the IAF base for inducting Rafales

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার ইতিহাস তৈরি করে ভারতের আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নামল পাঁচটি রাফালে যুদ্ধবিমান। দু’দশকে এই প্রথম নতুন কোনও বিদেশি যুদ্ধবিমান ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে এল। আগামী আগস্ট মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বিমানগুলিকে বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

[আরও পড়ুন: প্রতীক্ষার অবসান, ভারতের মাটি ছুঁল রাফালে যুদ্ধবিমান]

এবার প্রশ্ন হচ্ছে, ফরাসি বিমানগুলির ঘাঁটি হিসেবে কেন আম্বালাকেই বেছে নেওয়া হল? এর জবাব খুঁজতে হলে আমাদের কিছুটা অতীতে ফিরে যেতে হবে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরই আম্বালায় বায়ুসেনা ঘাঁটি তৈরি করে ব্রিটিশরা। সেখানে মোতায়েন করা হয় ব্রিটেনের রয়াল এয়ারফোর্সের ৯৯ স্কোয়াড্রনের ব্রিস্টল যুদ্ধবিমানগুলিকে। আজ হাস্যকর মনে হলেও, তখনকার দিনে প্রপেলার বিশিষ্ঠ এই যুদ্ধবিমানগুলিকেই অত্যন্ত আধুনিক মনে করা হত। তারপর থেকে আর ঘুরে দেখতে হয়নি আম্বালাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও ব্যবহার করা হয় ওই বিমানঘাঁটিকে। স্বাধীনতার পর ভারতের প্রথম বায়ুসেনা ঘাঁটি হিসেবে স্বীকৃতি পায় আম্বালা। এর আগে ভারতীয় বায়ুসেনার জাগুয়ার বোমারু বিমান, মিগ-২১ বাইসন বিমানগুলির অন্তর্ভুক্তিও এখানেই হয়। এছাড়া, সুখোইয়ের মতো অত্যাধুনিক ফাইটার জেট রয়েছে এই বেসটিতে। আম্বালা বিমানঘাঁটির কাছেই রয়েছে আর্মির ২ কোরের সদরদপ্তর। ফলে নিরাপত্তার দিকটিও এখানে যথেষ্ট মজবুত। এছাড়া, কয়েক দশকের অভিজ্ঞতা ও লাগাতার পরিকাঠামো উন্নয়নের জেরে রাফালে মোতায়েন করতে আম্বালায় বিশেষ নির্মাণের প্রয়োজন হয়নি। ১৯৪৭ সাল থেকে কারগিল যুদ্ধ পর্যন্ত পাকিস্তানের সঙ্গে লড়াইয়ে বেশ কিছু গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় রচনা করছে আম্বালা। ১৯৬৫’র ভারত-পাক যুদ্ধের সময় আম্বালায় হামলা চালিয়েছিল পাকিস্তানের বি-৫২ বোমারু বিমান। যদিও ওই হামলায় বেসের কোনও ক্ষতি হয়নি।

আম্বালায় রাফালে (Rafale) মোতায়েন করার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে এয়ারবেসটির কৌশলগত অবস্থান। এই ঘাঁটি থেকে ভারতের পশ্চিম ও উত্তরে একইসঙ্গে অপারেশন চালাতে সক্ষম বায়ুসেনা। অর্থাৎ পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আম্বালা। তাই এখানেই বায়ুসেনার সবথেকে ঘাতক হাতিয়ারটিকে মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া, আম্বালা রাডার, নজরদারি ব্যবস্থা ও রীতিমতো মজবুত অ্যান্টি-এয়ারক্র্যাফট সিস্টেম রয়েছে। ফলে শত্রু দেশের পক্ষে সেখানে হামলা চালানো অত্যন্ত কঠিন। পাশাপাশি চিন থেকে অনেকটাই দূরে হওয়ায় বিমানঘাঁটির উপর লালফৌজ সেভাবে নজর রাখতে সক্ষম হবে না। সব মিলিয়ে রাফালে মোতায়েনের পক্ষে আম্বালা আদর্শ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

[আরও পড়ুন: মহাসাগরে দাপট বাড়ছে চিনের, ভাণ্ডারে তৃতীয় বিমানবাহী রণতরী চাইছে ভারতীয় নৌসেনা]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে