সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েক দিন ধরে প্রেমিকার সঙ্গে মান-অভিমানের পর্ব চলছিল এক তরুণের। প্রেমিকার উপর ক্ষেপে গিয়ে তিনি ফোন ধরা বন্ধ করে দেন। দেখা-সাক্ষাতেও দাঁড়ি পড়ে। প্রেমিকের এমন কাণ্ডে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি মহারাষ্ট্রের লাতুরের এক তরুণী। মনের মানুষের খোঁজে থানায় চলে যান। মিসিং ডায়েরি নয়, চমকে দিয়ে প্রেমিকের বিরুদ্ধেই জানালেন গণধর্ষণের অভিযোগ।
[বারুইপুরে বৃদ্ধার রহস্যমৃত্যু, নিখোঁজ ২২ দিনের নাতনি]
এরপরই কাহিনি অন্যদিকে মোড়। কয়েক দিনের মধ্যে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। থানায় নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব শুরু হয়। তখন তদন্তকারীরা জানতে পারেন প্রেমিককে কাছে পেতে ভুয়ো ধর্ষণের অভিযোগ জানান ওই তরুণী। যা শুনে হতবাক হয়ে যান লাতুরের পুলিশকর্মীরা। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই তরুণীর সঙ্গে দিন কয়েক আগে তার বয়ফ্রেন্ডের তুমুল ঝগড়া হয়েছিল। তরুণীর সঙ্গে সবরকম যোগাযোগ বন্ধ করে দেন প্রেমিক। এরপরই প্রেমিক ও তাঁর কয়েকজন বন্ধুর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের গল্প ফাঁদেন ওই যুবতী। যুবক জানায়, মেয়েটিকে সে অত্যন্ত ভালোবাসে। শুধু মন কষাকষির কারণে তিনি সাময়িকভাবে নিজেকে দূরে সরেছিলেন। এই টানাপোড়েন পর্ব নিয়ে তাঁর সংযোজন, হবু স্ত্রী বড্ড বেশি মেসেজ করত। যার উত্তর সবসময় তাঁর পক্ষে দেওয়া সম্ভব ছিল না। এই নিয়ে বিরক্ত ছিলেন তিনি। থানা-পুলিশ হওয়ার পর বিয়ের পিঁড়িতেও দুজনে বসে পড়েছেন।
[সকাল থেকে ঠান্ডার আমেজ, শীত কি দুয়ারে?]
প্রসঙ্গত, এবছরের গোড়ায় এক ব্রিটিশ মহিলা ১৫ জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। অভিযোগ সাজানো প্রমাণ হওয়ায় ওই মহিলার ১০ বছরের জেল হয়েছিল। হরিয়ানার এক তরুণীও মনগড়া ধর্ষণের গল্প বলে আপাতত শ্রীঘরে। তবে লাতুরের ওই তরুণীর অবশ্য গারদে ঢুকতে হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, দুজনকেই একে অপরকে ভালবাসে। মানবিক কারণে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতের কথা ভেবে ওই তরুণীকে সতর্ক করা হয়েছে। তবে গণধর্ষণের অভিযোগের তদন্তে পুলিশকে অহেতুক খাটতে হয়েছে বলে খেদ প্রকাশ করেন লাতুরের পুলিশ সুপার।