সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘মিম’-এর সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়ইেসি একবার বলেছিলেন, “বিফ ইজ মামি ফর দ্য বিজেপি ইন ইউপি বাট ইয়ামি ইন গোয়া অ্যান্ড দ্য নর্থ ইস্ট।” কার্যত সেই কথাতেই যেন সিলমোহর দিলেন ভোটমুখী মেঘালয়ের বিজেপি প্রধান আরনেস্ট মাউরি।
২৭ ফেব্রুয়ারি মেঘালয়ে বিধানসভা নির্বাচন। শুক্রবার শিলংয়ে বিশাল রোড শো করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেদিনই সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষৎকারে রাজ্যের বিজেপি প্রধান আরনেস্ট মাউরি বলেন, “আমরা (নির্বাচনে) জিতলে খাদ্যাভ্যাসে কোনও পরিবর্তন আসবে না। (গোমাংস ভক্ষণে) কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে না। আমরা ক্ষমতায় এলে রাজ্যে পরিকাঠামো উন্নত করব। দুর্নীতির বিরুদ্ধে যারা লড়াই করতে প্রস্তুত প্রয়োজনে সেই সমস্ত সমমনস্ক দলের সঙ্গে জোট করব আমরা।”
Meghalaya | If we win, BJP will not change eating habits, there won’t be any restrictions (on beef-eating). After coming to power, we’ll develop infra in state. We’ll form govt with those like-minded parties that are against corruption: State BJP chief Ernest Mawrie (24.02) pic.twitter.com/z1SwrTjJ4X
— ANI (@ANI) February 25, 2023
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের অন্যতম প্রাচীন একটি চার্চের জমায়েতে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রের সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রকের মন্ত্রী জন বার্লা। শিলং, তথা মেঘালয় ভারতের অন্যতম রাজ্য, যেখানে খ্রিস্টানদের সংখ্যা বেশি। আর সামনেই সেখানে নির্বাচন। ফলে, এমন এক জমায়েতে জন বার্লার উপস্থিতির মধ্য দিয়ে বিজেপি এটাই বোঝাতে চেষ্টা করছে যে, তারা ‘খ্রিস্টান-বিরোধী’ নয়। মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ড জুড়ে বিজেপি তাদের ৮০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭৫ জনকে মনোনীত করেছে, যাঁরা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের।
[আরও পড়ুন: টোপ অত্যাধুনিক সাবমেরিন, ভারতকে রুশ প্রভাবমুক্ত করতে সক্রিয় জার্মানি!]
বিশ্লেষকদের মতে, মেঘালয়, নাগাল্যান্ডের মতো উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে শূকর এবং গোমাংস অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার। ফলে সেই সমস্ত রাজ্যে গোবলয়ের অ্যাজেন্ডা মানলে ভোটারদের রোষের মুখে পড়তে হবে। তাই মানুষকে আশ্বস্ত করতেই এহেন মন্তব্য করেছেন রাজ্যের বিজেপি প্রধান আরনেস্ট মাউরি।
প্রসঙ্গত, মেঘালয় (Meghalaya) এবং নাগাল্যান্ডেও বিজেপির সঙ্গে জোট সরকার ক্ষমতার আসনে রয়েছে গত পাঁচ বছর ধরে। মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের স্থানীয় দলগুলির সঙ্গে বিজেপির গাঁটছড়া তো আছেই, তার উপর দু’রাজ্যেই খ্রিস্টান মুখ্যমন্ত্রী। ফলে, মাউরি মন্তব্যে রাজনৈতিক ঐক্যের বার্তা আরও জোরালো হয়েছে বলেও ধারণা করছেন অনেকে।