BREAKING NEWS

২২ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  মঙ্গলবার ৬ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হবে না হিন্দি, আশ্বাস বিদেশমন্ত্রীর

Published by: Subhajit Mandal |    Posted: June 3, 2019 10:56 am|    Updated: June 3, 2019 1:19 pm

'Won't impose any language', says Union minister S Jaishankar

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসতেই তাতে জল ঢালার চেষ্টা সরকারের। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর রবিবার টুইট করে জানিয়ে দিলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হবে না। নতুন যে শিক্ষানীতির কথা বলা হচ্ছে, তা খসড়া রিপোর্ট মাত্র। সরকারের সিদ্ধান্ত নয়। খসড়া খতিয়ে দেখার পরই নেওয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। জোর করে শিক্ষা ব্যবস্থার উপর হিন্দি ভাষা বাধ্যতামূলকভাবে চাপিয়ে দেওয়া হবে না।

[আরও পড়ুন: ‘মমতা হিরণ্যকশিপুর বংশধর’, মুখ্যমন্ত্রীকে কুরুচিকর আক্রমণ সাক্ষী মহারাজের]

উল্লেখ্য, দিন দুই আগেই কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতির খসড়া পেশ করেছেন ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসির চেয়ারম্যান তথা ইসরোর প্রাক্তন প্রধান ডঃ কৃষ্ণস্বামী কস্তুরীরঙ্গন। খসড়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ১৯৬৮ থেকেই বহু স্কুলে ‘থ্রি ল্যাঙ্গুয়েজ ফরমুলা’ চলে আসছে। তা চালিয়ে যাওয়া উচিত। প্রাথমিক স্তর থেকে শিশুরা তিনটি ভাষাতেই সড়গড় হয়ে উঠবে। অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে স্থানীয় ভাষা, ইংরেজির সঙ্গে হিন্দি শিখতে হবে। হিন্দিভাষী রাজ্যে হিন্দি, ইংরেজির সঙ্গে অন্য কোনও ভারতীয় ভাষা শেখার প্রস্তাব দিয়েছে কমিটি। এই প্রস্তাব আদতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দিকে বাধ্যতামূলক করার চেষ্টা বলে মনে করছে বহু মানুষ।

[আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দেননি মোদি, বিহারে ফিরেই ‘বদলা’ নিলেন নীতীশ]

নতুন শিক্ষানীতির এই খসড়ার কথা প্রকাশ্যে আসতেই তামিলনাড়ু থেকে শুরু করে সমগ্র দক্ষিণ ভারতজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। জোর করে হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে সরব হন ডিএমকে সুপ্রিমো স্ট্যালিন থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরাও। এরাজ্যেও সোশ্যাল মিডিয়ায় হিন্দি আগ্রাসনের প্রতিবাদ শুরু হয়। ক্ষোভের আঁচ পেয়েই আসরে নামেন বিদেশমন্ত্রী। টুইটারে তিনি জানিয়ে দেন, ‘কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে জমা পড়েছে জাতীয় শিক্ষা নীতির খসড়া রিপোর্ট মাত্র। সে সম্পর্কে সাধারণ মানুষের বক্তব্য সংগ্রহ করা হবে, পরামর্শ নেওয়া হবে রাজ্য সরকারগুলির। এসব করার পরে খসড়া রিপোর্ট চূড়ান্ত করা হবে। সরকার সব ভাষাকে সম্মান করে। কোনও ভাষাই চাপিয়ে দেওয়া হবে না। দেশবাসীর অনুমতি সাপেক্ষে জাতীয় শিক্ষানীতির খসড়া রিপোর্ট নিয়ে সরকার পদক্ষেপ করবে। দেশের কোনও প্রান্তে জোর করে কোনও ভাষা চাপিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের নেই।’

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে