সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের(CAA) প্রতিবাদকারীদের ছবি দেওয়া বড় বড় হোর্ডিং দেখা যায় লখনউয়ের রাস্তায়। সোমবার এই বিষয়ে দায়ের হওয়া মামলার শুনানিতে উত্তরপ্রদেশ সরকারকে তীব্র ভর্ৎসনা করে এলাহাবাদ হাই কোর্ট। অবিলম্বে হোর্ডিংগুলি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু, তা মানতে রাজি নয় যোগী আদিত্যনাথের সরকার। হাই কোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হোলির পরে তারা সু্প্রিম কোর্টে আবেদন জানানোর সিদ্ধান্তই নিয়েছে বলেই সূত্রের খবর। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারিভাবে এই বিষয়ে কোনও ঘোষণা করা হয়নি।
আরও জানা গিয়েছে, সোমবার হাই কোর্টের সিদ্ধান্তের পরেই লখনউয়ের লোকভবনে রাজ্যের উচ্চপদস্থ আমলাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ওই বৈঠকে মুখ্যসচিব, লখনউয়ের পুলিশ কমিশনার ও জেলাশাসক ছাড়াও হাজির ছিলেন প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে এলাহাবাদ হাই কোর্টের নির্দেশ মেনে লখনউয়ের বিভিন্ন রাস্তায় লাগানো থাকা হোডিং খোলা হলে হবে না। বরং এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট যাওয়া হবে।
[আরও পড়ুন: ‘এটা কংগ্রেসের অন্দরের বিষয়’, মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক দোলাচলে মন্তব্য শিবরাজের ]
গত বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশের রাজধানী লখনউ শহরের বিভিন্ন রাস্তা আচমকা ঢেকে যায় বড় বড় ১০০টি হোর্ডিংয়ে। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়া জেরে ৫৩ জন আন্দোলনকারীর নাম ও ছবি-সহ ঠিকানা প্রকাশ করা হয়েছিল তাতে। এর মধ্যে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার এস আর দারাপুরি, সমাজকর্মী মহম্মদ শোয়েব, কবি দীপক কবীরের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। রয়েছে কংগ্রেসের স্থানীয় মহিলা নেত্রী সাদাফ জাফরের নাম এবং ছবিও। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশেই ওই হোর্ডিংগুলি প্রশাসনের পক্ষ থেকে টাঙানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে শুধুমাত্র বোর্ডিং টাঙিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি যোগী সরকার, আন্দোলনকারীদের প্রতিবাদে শহরে যে ক্ষতিপূরণ হয়েছে তাও আন্দোলনকারীদের থেকে আদায় করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। তার প্রেক্ষিতেই এই হোডিংগুলি লাগানো হয়েছিল।