সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন দুই আগে ইন্দোরের বোহরা মসজিদে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বোহরা সম্প্রদায়ের উপসনা স্থলে ইসলামের ত্যাগ ও শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অনেকেই অবশ্য মোদির মসজিদ-ভ্রমণ নিয়ে ভ্রু কুঁচকেছেন। ক্ষমতায় আসার আগে যে মোদি ‘হিন্দুত্বের পোস্টার বয়’ ছিলেন তিনি হঠাৎ মসজিদে গেলেন কেন? কেউ কটাক্ষ করেছিলেন, ভোটের জন্য সবই পারেন নেতারা। সেসব কটাক্ষ-কানাঘুসো পেরিয়ে এবার মোদির মসজিদ সফরকে কাঠগড়ায় তুলল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
ধর্মনিরপেক্ষ দেশের প্রধানমন্ত্রী কোনও ধর্মস্থানে যাবেন তাতে কানাঘুসোর কী আছে? থাকার কথাও নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে কারণ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিজেপির উগ্র মুখগুলির একজন, অন্তত এমনটাই অভিযোগ করেন বিরোধীরা। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অভিযোগটাও খানিকটা সেরকমই। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক মুখপাত্র বলছেন, “জানিনা প্রধানমন্ত্রী কী ভেবে মসজিদে গেলেন, ওনার কী হয়েছিল। ওনাকে বিষয়টা জিজ্ঞেস করতে চায়। প্রত্যেকেরই উচিত নিজের ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী আচরণ করা।” অর্থাৎ, মোদি কেন হিন্দু হয়েও মুসলিম উপসনাস্থলে স্থানে গেলেন, প্রশ্ন তুলল তাদেরই পুরনো সঙ্গী।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দাবি, ভারতে রাজনীতি করতে হলে আগে হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। অন্য কোনও ধর্মের কথা ভাবার আগে হিন্দুদের কথা মোদির ভাবা উচিত ছিল। ভিএইচপির মুখপাত্র বলেন, “ভারতে যদি কাউকে রাজনীতিতে থাকতে হয় তাহলে তাঁকে হিন্দুদের কথা ভাবতেই হবে, সে যে রাজনৈতিক দলেরই হোক।” মোদি জমানায় সংখ্যালঘুরা সুরক্ষিত নয়, বিরোধীদের এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ভোটের ৭-৮ মাস আগে মোদির মসজিদ ভ্রমণে বিরোধীদের সেই অভিযোগ কিছুটা হলেও খণ্ডন করা হবে বলে মনে করা হচ্ছিল, কিন্তু বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এই ক্ষোভ বিজেপির ঘরেই অশান্তি বাঁধিয়ে দিল। ভোটের আগে বিজেপির ঘরের এই অশান্তি উনিশের আগে গেরুয়া শিবিরের অস্বস্তি কিছুটা হলেও বাড়বে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.