সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আশঙ্কা ছিলই। সেটাই যেন সত্যি হল। চলতি আইপিএলে এখনও পর্যন্ত জয়ের মুখ দেখেনি আরসিবি। আর তাই হারের সমস্ত দায়ভার নিজের কাঁধে নিয়ে ব্যাঙ্গালোরের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেন বিরাট কোহলি।
ঘরের মাঠ হোক কিংবা অ্যাওয়ে ম্যাচ, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের পারফরম্যান্স প্রত্যেকবারই হতাশাজনক। চেন্নাই ও মুম্বইয়ের পর রবিবার হায়দরাবাদের কাছেও লজ্জাজনকভাবে হারে কোহলি অ্যান্ড কোম্পানি। ওয়ার্নার-বেয়ারস্টোয়ের দুর্দান্ত শোয়ে ১১৮ রানে জেতে সানরাইজার্স। তারপরই সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেল কোহলি। জানিয়ে দেন, আইপিএলের অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কোহলি বলেন, “আইপিএলের গত এগারোটা মরশুমে দল তিনবার ফাইনালে পৌঁছেছে ঠিকই, কিন্তু ট্রফি পাইনি আমরা। নেতৃত্বে কোথাও হয়তো ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। তাই চাই, অন্য কেউ দলকে জেতানোর দায়িত্ব নিক। চলতি টুর্নামেন্টে পরপর হারের সব দায় স্বীকার করেই নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।”
[আরও পড়ুন: বারাণসীতে মোদির বিরুদ্ধে নামছেন থালাইভা, ভোটের মুখে ঘোষণা রজনীর]
আইপিএল শুরুর আগেই আইপিএলে কোহলির অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কেকেআরের প্রাক্তন অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। ধোনি-রোহিতের তুলনা টেনে তিনি প্রমাণ করেছিলেন, নেতৃত্বের নিরিখে অনেকটাই পিছিয়ে ভারতীয় দলের অধিনায়ক। এমনকী গম্ভীর এও বলেন, কোহলির উচিত আরসিবির কাছে কৃতজ্ঞ থাকা। কারণ হাজার ব্যর্থতা সত্ত্বেও এই ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁর উপরই ভরসা রেখেছে। যদিও সে সময় গম্ভীরকে পালটা দিতে ছাড়েননি বিরাট। বলেছিলেন, “বাইরের লোকে যা ভাবে, সেভাবে ভাবলে বাড়ি বসে থাকতে হত। প্রত্যেকেই আইপিএল জিততে চায়। আমার যা করণীয় আমি তাই করছি। কে আমার কী সমালোচনা করল (আইপিএল না জেতায়) সেসব নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমি সবসময়ই নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। প্রত্যেকটা ট্রফি জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামি। কিন্তু অনেক সময় মানুষ যা চায়, সেটা বাস্তবে হয় না। তবে আমরা কেন ব্যর্থ হচ্ছি, সেটা বুঝতে হবে।”
আইপিএল শুরুর পর হয়তো সে প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাননি ক্যাপ্টেন কোহলি। আর তাই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললেন। তবে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে কোহলির এভাবে সরে দাঁড়ানো অনেককেই চিন্তায় ফেলছে। এমন সিদ্ধান্ত তাঁর আত্মবিশ্বাসে আঘাত করতে পারে বলেও মত বিশেষজ্ঞ মহলের। তবে নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ালেও তিনি দলে থাকছেন বলেই খবর। শীঘ্রই নয়া নেতার নাম ঘোষণা করবে আরসিবি।
যেদিন কোহলি এতবড় সিদ্ধান্তটা নিলেন, সেদিনের তারিখটার দিকে দেখুন। সারা দুনিয়ায় এই একটাই দিন রেখে দেওয়া আছে নিছক মজা করার জন্য। দিনটার অস্থিমজ্জাতেই যে লুকিয়ে আছে এ কথা। কত জোক এল গেল, কত জোকই আসবে। কোহলির নেতৃত্বও তেমনই নিশ্চিতভাবে সফল হবে। কিন্তু পয়লা এপ্রিল আর তো কাল থাকবে না। এই নিছক রসিকতা করার লাইসেন্সটুকুও তাই থাকবে না। তাই না হয় একটু মশকরা আজ মেনেই নিলেন। বরং ভাবুন, কোহলি যে এমন বড়সড় কোনও সিদ্ধান্ত নেননি, এটা ভেবে এবার কতটা স্বস্তি হচ্ছে! এই মজাটুকু স্রেফ ভাল থাকার আর SHARE করে নেওয়ার জন্যই।