Advertisement
Advertisement

Breaking News

চিনে রেস্তরাঁয় সতর্কতা

জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কায় ফাঁকা চিনে রেস্তরাঁ, ব্যবসা চালাতে নয়া উদ্যোগ মালকিনের

হাঁচি-কাশি হলে বিনামূল্যে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিচ্ছে 'ইউয়ান'।

A chinese resturant in Patuli takes steps for safe service amid corona scare
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 20, 2020 7:15 pm
  • Updated:March 20, 2020 7:15 pm

শুভময় মণ্ডল: নোভেল করোনা ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চিন। এই তথ্য ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে চিনে রেস্তরাঁগুলি থেকে দূরত্ব বাড়াচ্ছিলেন ভোজনপ্রেমীরা। কলকাতা তখনও করোনা সংক্রমণ থেকে দূরেই ছিল। তাই দক্ষিণ কলকাতায় বসে খাঁটি চিনে খাবারের স্বাদ জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে খোলা নিজের রেস্তরাঁ নিয়ে ভাবতে হয়নি অঞ্জনা দত্তকে।

এবার ভাবতে হচ্ছে। কারণ, কলকাতায় ইতিমধ্যে ২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে। কয়েকজনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে, কোয়ারেন্টাইনে গিয়েছেন কয়েকজন। ব্যবসায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সবাই। এরই মধ্যে অঞ্জনা কিন্তু নিলেন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। করোনা মোকাবিলায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি রেস্তরাঁর দরজাও খুলে রেখেছেন। করোনা আতঙ্কে যাতে কেউ চিনে খাবারের স্বাদ থেকে বঞ্চিত না হন, সেই ব্যবস্থা করেছেন। রেস্তরাঁর বাইরে কী করবেন, কী করবেন না – তার তালিকা টাঙানো হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের জের, আপাতত বন্ধ ঐতিহ্যবাহী ‘কফি হাউজ’]

দুই সন্তান নিয়ে অঞ্জনার সংসার চিনের করোনা ভাইরাস থাবা বসিয়েছে অঞ্জনা দত্তর চাইনিজ রেস্তরাঁয়। শোনা কথা, চিনের খাবার থেকেই নাকি করোনা থাবা বসিয়েছে। তাই চিনে খাবারে লাগাম টেনেছেন শহরবাসী। এদিকে, অঞ্জনার মতো অনেকেরই সংসার চলে রেস্তরাঁক কেন্দ্র করেই। তাই প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নিজেদের জীবিকা চালিয়ে যেতে হলে সতর্কতমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে। সেটাই করেছেন পাটুলির চিনে রেস্তরাঁ ‘ইউয়ান’-এর মালকিন অঞ্জনা দত্ত। যা দৃষ্টান্ত হতে পারে অন্যান্য রেস্তরাঁ মালিকদের কাছেও।

Advertisement

chinese-resturant1

‘ইউয়ান’-এর সামনে রয়েছে একটি বোর্ড। যেখানে লেখা কী কী করবেন, কী করবেন না। হাঁচি-কাশি নিয়ে কোনও গ্রাহক রেস্তরাঁয় যাওয়ার জন্য অঞ্জনাকে ফোন করলে, তিনি নিজেই বিনামূল্যে হোম ডেলিভারির কথা বলছেন। রেস্তরাঁর বাইরে লেখা – নো এন্ট্রি, ফ্রি হোম ডেলিভারি। টেবিলে ১ মিটার দূরত্ব বজায় রেখে ক্রেতারা যাতে বসতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক টেবিলে কোনও অপরিচিতের সঙ্গে বসতে দিচ্ছেন না অঞ্জনা।কর্মীদের মাস্ক এবং গ্লাভস পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ভিড় কমাতেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এইভাবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েই ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন ‘ইউয়ান’ মালিক অঞ্জনা দত্ত। নোভেল করোনা ভাইরাস থেকে দূরত্ব বজায় রেখেও চিনে খাবারের স্বাদ নেওয়া থেকে যাতে কেউ বঞ্চিত না হন, সেই ব্যবস্থা তিনি করেছেন।

[আরও পড়ুন: ‘কোনও আশ্বাস পেলাম না’, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর হতাশা প্রকাশ মমতার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ