সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেন ক্রমশই চওড়া হচ্ছে করোনার (Coronavirus) থাবা। বাংলায় কোভি়ড আক্রান্তদের মৃত্যুর তুলনায় সুস্থতার হার বেশি। তবে তা সত্ত্বেও প্রাণহানি যে ঘটছে না তা নয়। এবার প্রাণ গেল দমদমের বাসিন্দা এক স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের। তিনি দমদমেরই একটি নার্সিংহোমে প্রায় ২৫ দিনেরও বেশি ভরতি ছিলেন। তবে বিল বেশি হয়ে যাওয়ায় তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই চিকিৎসকের।
দীর্ঘদিন ধরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন চিকিৎসক সীতাংশু শেখর পাঁজা। বর্তমানে দমদমের একটি বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। গত ২৬ জুন তাঁর শরীরে করোনার নানা উপসর্গ দেখা যায়। ভরতি হন দমদমের ওই নার্সিংহোমে। পরীক্ষার পর নিশ্চিতভাবে জানা যায়, তিনি করোনা আক্রান্ত। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলতে থাকে। বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মাঝেমধ্যেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তাই তাঁকে বারবার ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। বাড়তে থাকে বিলের বোঝাও। মোট ২৩ লক্ষ টাকা বিল হয়।
[আরও পড়ুন: ইট দিয়ে মাথার পিছনে আঘাত, রাতের কলকাতায় মদ্যপদের হাতে খুন সিভিক ভলান্টিয়ার]
পরিবারের লোকজন ওই বিল মেটাতে পারছিলেন না। করোনার চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রায় নিঃস্ব হয়ে যান তাঁরা। বাধ্য হয়ে স্বাস্থ্যদপ্তরকে গোটা বিষয়টি জানায় চিকিৎসকের পরিবার। যেহেতু ওই চিকিৎসক দীর্ঘদিন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাই তাঁকে ওই সরকারি হাসপাতালে স্থানান্তকরণের দাবিও জানান রোগীর পরিজনেরা। স্বাস্থ্যদপ্তর তাঁদের আবেদনে সাড়া দেয়। চিকিৎসককে গত ২৪ জুলাই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এছাড়াও স্বাস্থ্যদপ্তরের হস্তক্ষেপে ওই নার্সিংহোমের বিল কমে হয় ১৬ লক্ষ টাকা।
তবে তাতেও শেষরক্ষা হল না। অদৃশ্য ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে জিতে আর বাড়ি ফেরা হল না তাঁর। শনিবারই জীবনযুদ্ধে হার মানেন চিকিৎসক সীতাংশু শেখর পাঁজা।