গৌতম ব্রহ্ম: এবার করোনায় আক্রান্ত এনআরএসের এক চিকিৎসক। বুধবার রাতেই তাঁর রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তখনই হাসপাতালের তরফে তাঁকে বেলেঘাটা আইডিতে ভরতি করার কথা বলা হয়। কিন্তু রাজি হননি সেই চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার সকালে পরিস্থিত খারাপ হওয়ায় তাঁকে বেলেঘাটা আইডিতেই ভরতি হতে হল তাঁকে। এছাড়া ন্যাশনাল মোডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক জুনিয়র ডাক্তারের শরীরেও করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তিনিও বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভরতি রয়েছেন।
বুধবার রাতে এনআরএস হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের এক চিকিৎসক ও অধ্যাপকের শরীরে করোনার সন্ধান পাওয়া যায়। রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাঁর। ওই চিকিৎসকের বয়স ৫৫ বছর। বয়স বেশি হওয়ার কারণেই তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই তখনই তাঁকে হাসপাতালে ভরতি হওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু ভরতির কথা নাকচ করে দেন ওই অধ্যাপক। তিনি জানান, হোম আইসোলেশনে থেকেই চিকিৎসা করাবেন তিনি। সেই মতো বাড়িতেই থাকতে শুরু করেন তিনি। বৃহস্পতিবার ভোরে হঠাৎই তাঁর প্রবল শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি হাসপাতালে ফোন করেন। গোটা বিষয়টা জানান। হাসপাতালে ভরতির জন্য অনুনয় করেন তিনি। এরপর হাসপাতালের তরফে অ্যাম্বুল্যান্স পাঠিয়ে তাঁকে বেলেঘাটা আইডিতে পাঠানো হয়।
[ আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের মাঝেই ডেঙ্গুর থাবা কলকাতায়, আক্রান্ত ২ ]
এর আগে দফায় দফায় এনআরএসের শতাধিক ডাক্তার, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু কোনও চিকিৎসকের শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মেলেনি। এই প্রথম এনআরএসের কোনও চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হলেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার চিকিৎসা হোম আইসোলেশনে থেকে করা সম্ভব। কিন্তু বয়স যদি একটু বেশি হয় তবে বাড়িতে থেকে ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা করা ঠিক নয়। ওই চিকিৎসকের সহকর্মীরা আপাতত কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।