কৃষ্ণকুমার দাস: করোনা (COVID-19) মোকাবিলায় দেশের মানুষকে একত্রিত করতে রবিবার ৯ মিনিট মোমবাতি, টর্চ জ্বালানোর নিদান দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী(Prime Minister)। তবে সেই নিদানকে নিজেদের মত করে প্রয়োগ করতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। মোমবাতি জ্বালানোর সঙ্গে বাজি ফাটে গিয়ে গুরুতর জখম হন বেলঘরিয়ার যতীন দাস নগরের বাসিন্দা পলাশ ভদ্র। বাজির আগুন লেগে গর্ত হয়ে যায় তাঁর ডান চোখের নীচের অংশ। রক্তাক্ত অবস্থায় যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।
লকডাউনে দেশবাসীর মনোবল বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রী ৫ এপ্রিল রাত ৯টায় ৯ মিনিট ধরে মোমবাতি, প্রদীপ, টর্চ জ্বালানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু বেশ কিছু মানুষ সেই নির্দেশকে মজার ছলে প্রয়োগ করতে প্রচুর পরিমাণে বাজি ফাটান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য করে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে বাজি ফাটাতে গিয়ে মাশুল দিলেন উত্তর শহরতলির বাসিন্দা পলাশ ভদ্র। গুরুতর জখম হলেও অল্পের জন্য রক্ষা পায় তাঁর চোখ। বাজির আগুনও তার স্প্রিন্টার থেকে প্রাণে বাঁচে তার শিশু পুত্র। তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে অমান্য় করে শহরাঞ্চলে এত বাজি ফাটায় নিন্দার ঝড় ওঠে। কিন্তু পুলিশ কেন এত নীরব? কলকাতা পুলিশের উদাসীনতা নিয়েও প্রশ্ন জেগেছে সকলের মনে। সাগর দত্ত সাহপাতাল সূত্রে খবর, রবিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পলাশ ভদ্র নামে এক যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় এমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়। তাঁর ডান দিকের চোখের নীচে মাংস উঠে গিয়ে ভয়ানক গর্ত হয়ে গেছে। এরপর অনেক চেষ্টা করে সেই রক্ত বন্ধ করে ৯টি সেলাই পরে আহতের। পলাশ ভদ্রের কথায়,”সন্তানের সঙ্গে জেনারেটর বাজি পোড়াতে গিয়ে প্রথমে বাজিটি অল্প জ্বলে নিভে যায়। সেই আধপোড়া বাজিটি দেখতে গিয়েই ঘটে বিপত্তি। বাজিটি বিস্ফোরণ হয়ে আহত হন পলাশ ভদ্র।” এরপরই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাজি ফাটানোর জেরে এরকম বড়সড় দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা পুলিশের ভুমিকায়। লকডাউন থাকা সত্ত্বেও কলকাতা শহর জুড়ে এত বাজি ফাটানোর দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে শতাধিক মানুষজনকে। তবে কলকাতা পুলিশ কেন? অভিযুক্তদের কেন ব্যরাকপুর পুলিশ কমিশনারেট গ্রেপ্তার করল না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বেলঘরিয়ার বাসিন্দারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.