অর্ণব আইচ: খাবারের পর একটু মৌরি (Soff) মুখে দেওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। কেউ বাড়িতে রেখে দেন, কেউ আবার রেস্তরাঁর বাটি থেকে একটু হাতে নিয়ে নেন। মুখশুদ্ধির এই প্রিয় জিনিসটিতে সবুজ রং মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছিল খাস কলকাতায়। সেই সঙ্গেই রমরমিয়ে চলছিল ভেজাল জিরের (Cumin) ব্যবসা। কলকাতার বাজারে এই ভেজালের কারবারের পর্দা ফাঁস করল পুলিশ।
মৌরিতে সবুজ রং মিশিয়ে বিক্রি এবং ভেজাল জিরে বিক্রির অভিযোগে জোড়াবাগানের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। উত্তর কলকাতার (North Kolkata) জোড়াবাগানে হানা দিয়ে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করলেন কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট শাখার গোয়েন্দারা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যবসায়ীর নাম অরুণকুমার গুপ্তা। বেশ কিছুদিন ধরেই এই ভেজাল জিরে ও মৌরির ব্যবসা করছিলেন তিনি।
সম্প্রতি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ইবির ওসি (ফুড) যুগলকিশোর দাঁয়ের তত্ত্বাবধানে গোয়েন্দাদের একটি টিম জোড়াবাগানের কালীকৃষ্ণ টোগোর স্ট্রিটের একটি গোডাউনে হানা দেয়। সেখান থেকেই পাঁচটি বস্তায় দেড়শো কিলো ভেজাল মৌরি ও সাতটি বস্তায় ২১০ কিলো ভেজাল জিরে উদ্ধার হয়। সেগুলির নমুনা পুলিশ পরীক্ষাগারে পাঠায়।
ইবির কাছে রিপোর্ট আসে, মৌরির সঙ্গে সবুজ রং মেশানো হয়েছে, যাতে মনে হয় সেগুলি একেবারেই টাটকা। ওই রং মেশানো মৌরি শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। জিরের মধ্যে মেশানো হয়েছে সুলফার বীজ। ওই বীজ পশুখাদ্য হিসাবে বিবেচিত হয়। সেগুলিও মানুষের খাবারের যোগ্য নয়। ইতিমধ্যেই ধৃত ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ভেজালের এই কারবারের সঙ্গে আর কে বা কারা যুক্ত, তার সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। যেখান থেকে এই ভেজাল খাদ্য সরবরাহ করা হত, সেখানে তল্লাশি চালানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.