Advertisement
Advertisement

Breaking News

Forward Bloc left front

হম্বিতম্বিই সার! শেষে বামফ্রন্টেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ফরওয়ার্ড ব্লকের

ভরাডুবির জন্য কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টকে টার্গেট করল বাম শরিকরা।

All India Forward Bloc decided not to leave left front for now | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 12, 2021 8:38 pm
  • Updated:June 12, 2021 8:38 pm

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: সব হম্বিতম্বি শেষ। আলিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে ইতি ফরওয়ার্ড ব্লকের (Forward Bloc)। বামফ্রন্ট ভেঙে বেড়িয়ে আসার রাস্তায় হাঁটল না শরিক নেতারা। মান বাঁচাতে এবার তাঁরা টার্গেট করল কংগ্রেস ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টকে (ISF)। এই দুই জোট শরিকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি জানাল ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য নেতারা। মঙ্গলবার বামফ্রন্টের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হবে বলে শরিকের দাবির কাছে পাল্টা কৌশলী চাল দিয়েছে সিপিএম।

ভোটের ফল বেরোনোর পর থেকেই বিভিন্ন ইস্যুতে দূরত্ব বাড়ছিল বামফ্রন্টের দুই শরিকের মধ্যে। কংগ্রেস (Congress) ও ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের সঙ্গে জোট বা আসনরফার সময় তাঁদের যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। পাননি যোগ্য সম্মান। সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে আসনরফা করা হয়। ফলে বঞ্চিত হয় শরিকরা। অভিযোগের সব আঙুলই ছিল সিপিএমের (CPIM) দিকে। এইভাবে চললে বামফ্রন্ট থাকার প্রয়োজন নেই। আপাতত বামফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ার দাবি করে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। এক পা এগিয়ে ফ্রন্ট চেয়ারম্যানের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ করে তাঁরা। বামফ্রন্ট থাকার প্রয়োজনীয়তা ও ভবিষ্যতে চলার পথ কী হবে সেই ব্যাখ্যা দাবি করা হয়। শরিকের এহেন মনোভাবে রুষ্ট হয় আলিমুদ্দিন। মাঝে দু-দুবার বৈঠক ডেকেও বাতিল করেন বিমান বসু। তবে শরিকের দাবি মেনে লিখিত দেন। সেখানে আগামীদিনে বামফ্রন্টের লক্ষ্য কী সেই উল্লেখ থাকলেও জোট বা আসনরফা নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। দ্বন্দ্ব মেটাতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেয় আলিমুদ্দিন। প্রস্তাব মেনে শনিবার আলিমুদ্দিন যান দলের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়। দু’পক্ষের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর বিপ্লবে ইতি টানে নেতাজির দল। মঙ্গলবার বামফ্রন্টের (Left Front) বৈঠকে যোগ দেবেন বলে জানান তিনি। বামফ্রন্ট একাই চলবে বলে দাবি করেন তিনি। বিমান বসুর আশ্বাসে আপাতত বামফ্রন্টেই থাকছেন বলে জানানো হয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কুণাল ঘোষের বাড়িতে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, আরও বাড়ছে ‘ঘর ওয়াপসি’র জল্পনা]

তবে সামনেই উপনির্বাচন। সেক্ষেত্রে কী জোট ভেঙে দেওয়া হবে? যদিও প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেন ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। উপনির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে বলে জানান নরেন চট্টোপাধ্যায়। বস্তুত ফ্রন্টে থেকে লড়াই করেও গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি ফরওয়ার্ড ব্লক। তা সত্ত্বেও বড় শরিক সিপিএমের দুর্গতি দেখার পর জোট নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলা শুরু করে তাঁরা। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বামফ্রন্ট ভাঙার সাহস দেখাতে পারলেন না নরেন চট্টোপাধ্যায়রা।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ