স্টাফ রিপোর্টার: আবারও অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সাক্ষী হল শহর কলকাতা। এবার মালদহের তরুণীর হাত ধরে প্রাণ ফিরে পেল তিন মৃত্যুপথযাত্রী।
কলকাতার আর এন টেগোর হাসপাতালে ভরতি ছিলেন বছর ছাব্বিশের ওই তরুণী। গত ৮ নভেম্বর মালদহের ওই তরুণী হৃদরোগে আক্রান্ত হন। মস্তিষ্কের বাঁ-দিকে গভীর সংক্রমণ হয়েছিল তাঁর। বাঁচার সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসছিল। পরে আর এন টেগোর হাসপাতালে তাঁর ব্রেন ডেথের কথা ঘোষণা করা হয়। তারপরই ওই তরুণীর পরিবারের তরফে অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাঁর লিভার এবং দুই কিডনিতে প্রাণ ফিরে পায় তিনজন। ওই তরুণীর লিভার প্রতিস্থাপন করা হয় আর এন টেগোর হাসপাতালেই। ৩৭ বছরের এক ব্যক্তি লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। একই হাসপাতালে ভরতি ছিলেন তিনি। তরুণীর লিভারে প্রাণ ফিরে পেলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: নিউটাউনে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার কবলে গাড়ি, বেপরোয়া গতির বলি তিনজন]
তরুণীর একটি কিডনিও প্রতিস্থাপিত হয়েছে সেখানেই। অন্য কিডনিটি গ্রিন করিডর করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যেখানে কিডনির অসুখে আক্রান্ত হয়ে ভরতি ছিলেন এক রোগী। তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর দাদা জানিয়েছেন, বোনকে ফিরে পাওয়ার আশা শেষ হয়ে গেলেও এই জিনজনের মধ্যে দিয়েই বেঁচে থাকবেন তরুণী। বলেন, “আমাদের বোন যখন আর নেই, তখন বোনের অঙ্গগুলি যদি মরণাপন্ন কোনও মানুষ পান, তাহলে আমরা মনে করব তাঁর শরীরের মধ্যে দিয়েই বেঁচে আছে আমাদের বোন।” প্রসঙ্গত, এটি পূর্ব ভারতে আর এন টেগোর হাসপাতালের দ্বিতীয় লিভার প্রতিস্থাপনের অপারেশন। অস্ত্রোপচার হওয়ার পর আপাতত কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে গ্রহীতাদের।
চলতি বছর জুলাইতে হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা অঞ্জনা ভৌমিকের (৪৯) অঙ্গে প্রাণ পেয়েছিলেন তিনজন। গ্রিন করিডর করে হাওড়ার নারায়ণা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মৃতার হার্ট এবং কিডনি। তাঁর অপর কিডনিটি হাওড়ার অন্য একটি হাসপাতালে প্রতিস্থাপিত হয়। এবার মালদহের তরুণীর সৌজন্যে অঙ্গ প্রতিস্থাপনের সাক্ষী রইল কলকাতা।