অর্ণব আইচ: করোনা নিয়ে গুজব বা ভুয়ো খবর ছড়ালে ‘ডিএমএ’ অর্থাৎ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে ব্যবস্থা নিতে পারে পুলিশ। ওই নির্দিষ্ট ধারায় কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হলে সেই ব্যক্তির এক বছরের কারাবাস পর্যন্তও হতে পারে। বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিষয়ে শহরবাসীকে সতর্ক করেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।
পুলিশ কমিশনার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, কেউ গুজব ছড়ালে বা ভুয়ো তথ্য দিলে তার বিরুদ্ধে ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে মামলা হতে পারে। এই অ্যাক্টে বলা আছে, বিপর্যয়ের সময় কেউ ভুয়ো মেসেজ বা গুজব ছড়ালে যদি তা আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তবে তা শাস্তিযোগ্য। অপরাধ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তর এক বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানাও হতে পারে।
[আরও পড়ুন: লকডাউনে অকারণে রাস্তায় গাড়ি, কমিশনারের কড়া বার্তার পর আটক ৫১টি যান]
এছাড়াও অভিযুক্তর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ও আই অ্যাক্ট প্রয়োগ করা হতে পারে। সেক্ষেত্রে পুলিশ কমিশনার শহরবাসীকে সতর্ক করে বলেছেন, প্রত্যেকে যেন যথেষ্ট দায়িত্ববান হন। কেউ যেন ভুয়ো তথ্য না ছড়ান। গুজব ছড়ানো থেকে প্রত্যেককে বিরত থাকতে হবে। তথ্যের প্রয়োজনে সকলে যেন সরকারি ওয়েবসাইট দেখেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় যে কোনও মেসেজ পাঠানোর আগে তা যেন যাচাই করে নেওয়া হয়। কোনও সন্দেহজনক পোস্ট বা মেসেজের বিষয়ে পুলিশকে ফেসবুক, টুইটার বা ইনস্টাগ্রামে জানানোর কথা বলেছেন সিপি অনুজ শর্মা।
[আরও পড়ুন: ‘আমরা কি চা খাবো না?’, ভাইরাল মৃদুল দেবের পাশে দাঁড়ালেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়]
ইতিমধ্যেই করোনা নিয়ে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে দুই মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কলকাতায়। লালবাজারে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে অনেককে। এবার করোনা নিয়ে কেউ গুজব বা ভুল খবর ছড়ালে তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ যে আরও কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে, সেটাই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। একইসঙ্গে পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য, ডাক্তার, নার্স ও যে স্বাস্থ্যকর্মীরা সংকটের সময় আপ্রাণ লড়াই করেছেন, এখন তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর সময়। তাই তাঁদের নিরলস প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানায় কলকাতা পুলিশ।