BREAKING NEWS

১২ আশ্বিন  ১৪৩০  শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

বন্ধ হবে না বারাকপুরের স্কুল, প্রয়োজনে সেনাকে জমি দেওয়ার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: June 8, 2018 9:46 am|    Updated: June 7, 2019 6:28 pm

Army shuts down school in Barrackpore, Mamata Banerjee intervenes

স্টাফ রিপোর্টার, হাওড়া: কয়েকদিন আগেই স্কুলের দখল নিয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিল সেনাবাহিনী। এবার সেই বারাকপুরের মডার্ন স্কুলকে রক্ষা করতে উদ্যোগ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেনাবাহিনী স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিশপরা। নিরাশ করেননি তিনি৷ প্রয়োজনে সেনাকে জমি দেওয়া হবে, কিন্তু স্কুল সরবে না৷ হওড়ার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর৷

[বাড়াতে হবে ভাড়া, দাবিতে এবার ধর্মঘটের ডাক লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের]

বৃহস্পতিবার হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মডার্ন স্কুলের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “প্রয়োজনে সরকারের জমি থেকে সেনাবাহিনীকে জমি দেওয়া হবে। স্কুলকে কোনওভাবেই সেখান থেকে সরানো যাবে না।” মুখ্যমন্ত্রীর এই আশ্বাসে এখন আশার আলো দেখছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়ারা। বারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড অধীনস্থ মিডল রোডের অতি প্রাচীন মডার্ন স্কুলের প্রাইমারি সেকশনটি ১৯ মে দখল নিয়ে নেয় সেনাবাহিনী। ১৯৫৬ সালে বারাকপুর ডায়েলিস চার্চ এফ নর্থ ইন্ডিয়া চুক্তির মাধ্যমে স্কুলকে জমি দিয়েছিল। অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডকে কিছু না জানিয়েছেই স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেয় সেনা।

[বুদ্ধিজীবীদের বৈঠকে লোক কম কেন, চটে লাল রামলাল]

প্রতিবাদে সোমবার  স্কুল গেটে অবস্থান বিক্ষোভ করেন অভিভাবক ও শিক্ষকরা। বিক্ষোভে শামিল হন চার্চের ফাদারও৷ এই সমস্যার সুরাহা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হন বিশপরা। বৃহস্পতিবার হাওড়ার শরৎ সদনে প্রশাসনিক বৈঠকে এসেই মুখ্যসচিব মলয় দে-কে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কথা বলে বারাকপুরের মডার্ন স্কুলের সমস্যাটি সমাধান করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। মঞ্চে উঠে তিনি বলেন, “১৯৫৬ সাল থেকে এই স্কুলটি চলছে। এই স্কুল থেকে অনেক মেধাবী ছাত্র বেরিয়েছে। বিশপরা জানান, যে সেনাবাহিনী স্কুলটি দখল নিয়ে তালা দিয়েছে, জমিটি তাদের বলে দাবি করেছে সেনা। সেনাবাহিনীকে আমি সম্মান করি। তবে স্কুলের ওই জমিটি রক্ষা করতে হবে। ওই জমির বদলে সেনাকে সরকারের তরফ থেকে জমি দেওয়া হবে।” প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , ক্যান্টনমেন্ট ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রুল ১৯২৫ অনুযায়ি, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ব্যবহারের বা সেখানে যে কোনও রকমের কার্যকলাপের কেবলমাত্র ক্ষমতা থাকে সেনা ও কেন্দ্রের৷ সেনা ও কেন্দ্রের অনুমতি ছাড়া সেখানে কারও নিয়ম চলে না৷ এমনকী সেখানে কোনও ভূমিকা থাকে না রাজ্য সরকারেরও৷

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে