Advertisement
Advertisement

পোস্তায় বহুতল থেকে ঝাঁপের ঘটনায় গ্রেপ্তার মৃতার স্বামী ও ভাশুর

মৃতা একা নন, শিশুকন্যাকে কোলে নিয়ে বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তাঁর মেয়েও৷

Arrest in Posta suicide case
Published by: Tanumoy Ghosal
  • Posted:January 7, 2019 1:43 pm
  • Updated:January 7, 2019 1:43 pm

অর্ণব আইচ: মা-মেয়ে ও নাতনি। ভরসন্ধে বেলায় শহরের একটি বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন এক পরিবারের তিনজন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাসদুয়েক আগে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল বড়বাজারের পোস্তায়। ওই ঘটনায় আশ্চর্যজনকভাবে রক্ষা পেয়েছে দুধের শিশুটি। ঘটনার দিনই মারা যান ওই প্রৌঢ়া, তাঁর মেয়ে এখনও হাসপাতালে ভরতি বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার তদন্তে নেমে বৃদ্ধার স্বামী ও ভাশুরকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। 

[ মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি, ব্যবসায়ীকে ব্ল্যাকমেল করে গ্রেপ্তার ২]

Advertisement

পোস্তার ১০ নম্বর বটতলা স্ট্রিটের একটি বহুতলে মেয়ে, নাতনি, স্বামী ও প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে থাকতেন বাহান্ন বছরের সাহানি তাপাড়িয়া। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, গত ১৪ নভেম্বর ভরসন্ধেয় বহুতল থেকে প্রথমে ঝাঁপ দেন সাহানি। কিছুক্ষণ পর দুই বছরের মেয়েকে কোলে নিয়ে ঝাঁপ দেন ওই প্রৌঢ়ার মেয়ে ইন্দিরাও। তড়িঘড়ি তিনজনকেই নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। হাসপাতালে সাহানি তাপাড়িয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তাঁর মেয়ের এখনও চিকিৎসা চলছে। তবে আশ্চর্যজনকভাবে রক্ষা পেয়েছে দুধের শিশুটি।

Advertisement

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, পোস্তার ওই বহুতলে স্বামী ও প্রতিবন্ধী ছেলেকে নিয়ে থাকতেন সাহানি তাপাড়িয়া। তাঁর একমাত্র মেয়ে ইন্দিরার বিয়ে হয়েছিল বছর চারেক আগে। কিন্তু কন্যাসন্তানের জন্মের পরই স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি চরমে ওঠে। বাপের বাড়িতে ফিরে আসেন ইন্দিরা। এই ঘটনা মেনে নিতে পারেননি সাহানির স্বামী। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্য অশান্তি লেগে থাকত। তদন্তকারীদের দাবি, স্ত্রী ও মেয়ে-কে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিত সাহানি তাপাড়িয়ার স্বামী ও ভাশুর। রবিবার গভীর রাতে দু’জনকেই গ্রেপ্তার করেছে পোস্তা থানার পুলিশ।

[ শ্লীলতাহানির পর দুই যুবতীকে ‘অপহরণ’, রাতের শহরে শাটল আতঙ্ক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ