সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রতি মাসে দুর্ঘটনা, মৃত্যু। নিউটাউনে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলা দুর্ঘটনার পিছনে সবথেকে দায়ী অবলা প্রাণীরা। রাস্তা দিয়ে তাদের উদ্দেশ্যহীন চলাফেরায় বিপদে পড়েন গাড়িচালকরা। এই প্রবণতায় রাশ টানতে বিল আনল রাজ্য সরকার। যার ভিত্তিতে নিউটাউনের রাস্তায় আর চলতে পারবে না কোনওরকম পশু।
[মর্মান্তিক! গুজরাটে বরযাত্রী বোঝাই ট্রাক উলটে মৃত অন্তত ২৬ ]
পরিসংখ্যান বলছে নিউটাউনের দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে অন্তত ৪০ শতাংশ দায়ী গবাদি পশু। মাঝেমধ্যে খবর হয় কোনও গাড়ি অন্য গাড়িকে ধাক্কা মেরেছে। এসব ক্ষেত্রে দেখা যায় গরুকে বাঁচাতে গিয়ে আর এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেন চালকরা। মাস কয়েক আগে নিউটাউনে বাছুরকে রক্ষা করতে গিয়ে বাইক আরোহী ডিভাইডারে ধাক্কা মেরেছিলেন। তার ফলে এক শিশু-সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। চালকদের বক্তব্য, গরু, বাছুর, মোষ, কুকুর বা ছাগল সারা দিন চড়ে বেড়ায়। আসলে ওই এলাকায় বেশ কিছু মানুষের পেশা পশুপালন। প্রচুর ঘরবাড়ি হওয়ায় বিচরণের জায়গা না পাওয়ায় গবাদি পশুগুলি রাস্তায় চলে আসে। তার ফলে ঘটে যায় একের পর এক দুর্ঘটনা। চালকদের বক্তব্য, বাছুরের জন্য সবথেকে বেশি সমস্যা হয়। এই প্রবণতা বন্ধ করতে রাজ্য সরকার বিধানসভায় বিল এনেছে। যেখানে বলা হয়েছে নিউটাউনের রাস্তায় গরু, ছাগল, মোষ উঠতে পারবে না। পথ দুর্ঘটনা রোখার পাশাপাশি কলকাতায় আসা বিদেশি পর্যটকদের কাছে শহরকে পরিচ্ছন্ন হিসাবে তুলে ধরতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারণ বিমানবন্দর থেকে কেউ নিউটাউনের রাস্তা দিয়ে গেলে গরু, ছাগল দেখতে পান। যা অত্যন্ত দৃষ্টিকটূ।
[টেস্ট ড্রাইভের নাম করে মোটরবাইক নিয়ে উধাও দুষ্কৃতী, তাজ্জব তদন্তকারীরা]
প্রশ্ন হচ্ছে এই বিপুল পরিমান গবাদি এবং গৃহপালিত পশুর তাহলে কোথায় জায়গা হবে। রাজ্য সরকার ওই পশুদের পুনর্বাসনের জন্য পশুখামারের ব্যবস্থা করছে। রাস্তায় এদের দেখতে পেলে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে তাদের ওই খামারে রাখবে। নিউটাউনের রাস্তায় কুকুর ধরার জন্য কাজ করেন হিডকোর কর্মীরা। তাদের পাশাপাশি পুলিশও কাজ করবে। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, মাঝেমধ্যে কুকুর ধরা হয়। তারপরও অজ্ঞাত কারণে কিছু কুকুর দেখা যায় নিউটাউনে। এই কুকুরগুলি কোথা থেকে আসা তা নিয়ে ধাঁধায় স্থানীয়রাও। নিউটাউন দিয়ে যারা গাড়ি নিয়ে নিত্য যাতায়াত করেন তারা রাজ্যের এই পদক্ষেপে স্বস্তি পেয়েছেন।
[বিয়ের দিনে পাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, মর্মান্তিক পরিণতিতে হতবাক পরিবার]