Advertisement
Advertisement

Breaking News

প্রচারে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বাবুল, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

থানায় অভিযোগ জানানি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

Babul Supriyo allegedly heckled by TMC workers
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 25, 2018 11:26 am
  • Updated:January 25, 2018 11:26 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোয়াপাড়ায় প্রচারে যাওয়ার পথে বেলঘরিয়ায় বিক্ষোভের মুখে বাবুল সুপ্রিয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, শাসক দলের কর্মীরা তাকে বিনা প্ররোচনায় বাধা দেয়। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। তবে এই ঘটনার পর অবশ্য নোয়াপাড়ায় যাননি বাবুল। যা নিয়ে বিজেপির অন্দরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

[চাঁদার নামে জুলুম, এবার হেনস্তার শিকার খোদ সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়]

Advertisement

বৃহস্পতিবার বেলার দিকে বেলঘরিয়া-কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে ধরে নোয়াপাড়ায় যাচ্ছিলেন বাবুল। মাঝপথে থামেন বেলঘরিয়ার মল্লিকপাড়া মোড়ে। সেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে আসানসোলের সাংসদ চা খাচ্ছিলেন। বাবুলের বক্তব্য তাঁকে দেখে কয়েকজন এগিয়ে এসে সেলফি তোলেন। উৎসাহীদের সঙ্গে অরাজনৈতিক বিষয়ে কথাবার্তা চলছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি এমন সময় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী দলীয় পতাকা নিয়ে সেখানে হাজির হয়। এরপর কোনওরকম প্ররোচনা ছাড়াই তাঁকে উদ্দেশ্য করে কুরুচিপূর্ণ কথা বলে। এমনকী প্রধানমন্ত্রীর নামেও অশ্লীল মন্তব্য করে। এরপর বাবুলকে গো-ব্যাক স্লোগান এবং কালো পতাকা দেখানো হয়। বাবুলের অভিযোগ গণ্ডগোলের খবর শুনে পুলিশ এলেও কার্যত নীরব দর্শকের ভূমিকা নেয়। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে তৃণমূল কর্মীরা গা-জোয়ারি শুরু করলেও পুলিশ কোনওরকম সক্রিয়তা দেখায়নি। বাবুল ঠিক করেন তৃণমূলের কর্মীরা স্লোগান দিলেও তিনি জায়গা ছাড়বেন না। কিন্তু পুলিশি নিরাপত্তার বদলে উলটে তাঁকে সরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ বাবুলের। শেষ পর্যন্ত পুলিশের হস্তক্ষেপে ঘেরাওমুক্ত হন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। তবে এত কাণ্ডের পর নোয়াপাড়ায় আর যাননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। চলে যান বিমানবন্দরে। এই খবরে নোয়াপাড়ায় বিজেপি কর্মীদের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সূত্রের খবর, নোয়াপাড়ায় গেলে কর্মীদের একাংশের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হবে। এই কারণে আর বাবুল উপ নির্বাচনের প্রচারে যাননি।

Advertisement

[নেশার ঘোরে নিজের বাড়িতেই আগুন লাগিয়ে দিলেন প্রৌঢ়!]

তবে এই ঘটনায় অবশ্য শাসক দলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তৃণমূল সূত্রে খবর, বিজেপি সাংসদ বিষয়টি নিয়ে হইচই করলেও তিনি পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি। তাই বাবুল প্রসঙ্গ উপেক্ষার রাস্তা নিয়েছে শাসক দল। বুধবার বিজেপির আর এক সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় বর্ধমানে আটকে পড়েছিলেন। জাতীয় সড়কে চাঁদা তোলার প্রতিবাদ রূপাকে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ