Advertisement
Advertisement

উলুবেড়িয়ায় ব্যাঙ্ককর্মীর রহস্যমৃত্যু, ফেসবুকে সুইসাইড নোট

অবৈধ লেনদেনের জন্য তাঁর উপর চাপ প্রয়োগের অভিযোগ দুই সহকর্মীর বিরুদ্ধে!

Bank Employee found dead on railway tracks in Uluberia
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 11, 2017 10:28 am
  • Updated:February 11, 2017 10:28 am

নিজস্ব সংবাদদাতা, উলুবেড়িয়া: উলুবেড়িয়ার বানিবোনে ব্যাঙ্ককর্মীর রহস্যমৃত্যু৷ রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল ক্ষতবিক্ষত দেহ৷ ফেসবুকে মিলল সুইসাইড নোট৷ সত্যিই আত্মহত্যা? নাকি খুনের ঘটনা তা নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হয়েছে৷

হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা রজত চৌধুরি (৪৫) নামে এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককর্মীর মৃতদেহ উদ্ধার হয় উলুবেড়িয়া স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে লতিবপুর এলাকায়৷ টহলরত জিআরপির একটি দল দেহটি উদ্ধার করে৷ প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে রজতবাবুর৷ তবে ঘটনার পিছনে রহস্য থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷ কারণ রজত চৌধু্রির ফেসবুক অ্যাকাউণ্ট থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট৷ যেখানে তিনি তাঁর মৃত্যুর কারণ হিসাবে জানিয়েছেন, অবৈধ লেনদেনে তাঁকে বাধ্য করা হয়েছিল৷ এই কাজে তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন ওই ব্যাঙ্কেরই দুই কর্মী অমিত নায়েক ও সোমনাথ ঘোষ৷

Advertisement

তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, ওই দুই কর্মী তাঁর উপর দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপ তৈরি করে আসছিলেন৷ নোট বাতিল ঘোষণার পর থেকে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে যত সংখ্যক বাতিল নোট জমা পড়েছে সেগুলি রজতবাবুর তত্ত্বাবধানে জমা পড়েছে৷ এই মর্মে জোর করে তাঁকে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া হয় বলে ফেসবুকে অমিত নায়েক ও সোমনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন৷ সুইসাইড নোটে তিনি আরও লিখেছেন, তাঁকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়ার পর থানায় রজতবাবুর বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই বন্ধু ও পরিজনদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন বলে সুইসাইড নোটে উল্লেখ করেছেন৷ রজতবাবুর স্ত্রী ও ছোট একটি মেয়ে রয়েছে৷ সুইসাইড নোটে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ থাকলেও মৃত্যু নিয়ে রহস্য রয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে৷ কারণ রজতবাবু বাইক নিয়ে রোজ যাতায়াত করতেন৷ রজতবাবুর দেহ রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হলেও বাইকটি উদ্ধার হয়েছে ব্যাঙ্ক থেকে৷

Advertisement

তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউণ্টটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ ফেসবুকে তিনি নিজেই এই সুইসাইড নোটটি লিখেছিলেন না কি অ্যাকাউণ্টের পাসওয়ার্ড হাতিয়ে অন্য কেউ ওই সুইসাইড নোটটি লিখেছে৷ কারণ ওই সুইসাইড নোটে অমিত নায়েক ও সোমনাথ ঘোষ নামে অন্য দুই ব্যাঙ্ককর্মীর নামের উল্লেখ করেছে৷ এমনকী আত্মহত্যার জন্য ওই দুই ব্যাঙ্ককর্মীকেই সরাসরি দায়ী করা হয়েছে৷ ওই দুই ব্যাঙ্ক কর্মীকে ফাঁসাতে অন্য কেই একাজ করলেও করতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে৷ তবে রজতবাবুর স্ত্রী জানিয়েছেন, বেশ কয়েক দিন ধরেই অবসাদগ্রস্ত ছিল রজতবাবু৷ অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পর পরিবারের সঙ্গে স্বাভাবিক ব্যবহার করত না৷ স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়াও করছিল না সে৷ মাঝে মধ্যে সে অফিস যেতে চাইত না বলেও জানিয়েছেন রজতের স্ত্রী৷ গোটা ঘটনাটির তদন্ত করছে পুলিশ৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ