অর্ণব আইচ: বড়বাজারে (Bara Bazar) শিশুকে পাঁচতলার বারান্দা থেকে ছুঁড়ে ফেলে খুনের ঘটনায় ধৃতের স্ত্রী কোথায়, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও অভিযুক্তের দাবি, তার স্ত্রী দীর্ঘদিন ধরেই নিখোঁজ। আবার প্রতিবেশীরা বলছেন অন্য কথা। তাঁদের দাবি, শিবকুমার তার স্ত্রীর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করত। এমনকী তাঁকে শিবকুমার খুন করেছে বলেও দাবি। প্রতিবেশীদের দাবি সত্যি নাকি শিবকুমার ঠিক কথা বলছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত শিবকুমার গুপ্তা আদতে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মির্জাপুরের বাসিন্দা। সেখানে তার এক ছেলে থাকে। বড়বাজারে থাকে শিবকুমারের আরেক ছেলে। সে এখানে ম্যাটাডোরের ব্যবসা দেখাশোনা করে। পুলিশের দাবি, রবিবার সন্ধেয় প্রথমে মির্জাপুর থেকে বড়বাজার থানায় একটি ফোন আসে। শিবকুমারের ছেলে ফোনে জানান, তাঁর বাবা এক শিশুকে বারান্দা থেকে ছুঁড়ে ফেলে খুন করেছে। সেই অনুযায়ী পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।

শিবকুমারের ছেলের দাবি যে সত্যি তা জানতে পারে পুলিশ। এরপর শিবকুমারকে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রক্ষা করে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: লকডাউনে স্কুলগুলোতে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ, বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভে লকেট, সায়ন্তন]
এই ঘটনার তদন্তে নেমে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। শিবকুমারের পরিবারের প্রসঙ্গে খোঁজখবর নিতে গিয়ে তার স্ত্রীর কথা শোনেন তদন্তকারীরা। কিন্তু কোথায় শিবকুমারের স্ত্রী? ধৃত শিবকুমারের দাবি, তার স্ত্রী বেশ কয়েক বছর আগে বাড়ি ছেলে চলে যান। তারপর পুলিশে নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। কিন্তু খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। যদিও প্রতিবেশীরা অন্য কথা বলছেন। তাঁদের কেউ কেউ দাবি করছেন, শিবকুমার নিত্যদিন তার স্ত্রীকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করত। খুন করে দিয়েছে সে। আবার কারও কারও দাবি, স্ত্রীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে শিবকুমার। যদিও শিবকুমারের নিখোঁজ তত্ত্বই সত্যি নাকি খুনই হয়েছেন তার স্ত্রী তা খতিয়ে দেখছে বড়বাজার থানার পুলিশ। এদিকে, প্রাণে বাঁচলেও আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না ওই দুই শিশুর। মানসিকভাবে অত্যন্ত ভেঙে পড়েছে তারা। রবিবারের ঘটনার পর থেকে শুধুই কেঁদে চলেছে খুদেরা। খাবারও খেতে চাইছে না কেউই।
