Advertisement
Advertisement

Breaking News

সব্যসাচী দত্ত

অনাস্থার মোকাবিলায় তৎপর সব্যসাচী, আইনজীবীদের দ্বারস্থ বিধাননগরের মেয়র

মুকুলের পরামর্শে মেনেই কি শাসকদলের মোকাবিলা করবেন সব্যসাচী? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলে৷

Bidhannagar Mayor Sabyasachi Dutta seeking legal help
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 12, 2019 1:52 pm
  • Updated:July 12, 2019 1:52 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দল বিরোধী কাজ ও অসহযোগিতার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন দলের কাউন্সিলররা৷ আগামী ১৮ জুলাই হবে সেই অনাস্থার ভোটাভুটি৷ তবে এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করেছেন বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত৷ সূত্রের খবর, পরবর্তী রণকৌশল ঠিক করতে ইতিমধ্যে আইনজীবীদের পরামর্শ নিচ্ছেন তিনি৷ আইনি পথে লড়াইয়ের কৌশল বাতলাতে নাকি হাই কোর্টের বেশ কয়েকজন আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন নিউটাউন-রাজারহাটের বিধায়ক৷

[ আরও পড়ুন: বলিউডে সুযোগ দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকার জালিয়াতি, প্রতারিত দমদমের মহিলা]

Advertisement

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে আবারও সব্যসাচীর বাড়িতে যান বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সেখানে মিনিট পঁয়তাল্লিশ সময়ও কাটান তিনি৷ বেরিয়ে এসে কোনও রাখঢাক না করেই জানান, “ওঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হয়েছে। সে বিষয়ে লড়াইয়ের স্ট্র‌্যাটেজি ঠিক করতে এখানে এসেছিলাম।” আর মুকুলের এই বক্তব্য থেকেই রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এবার হয়তো মুকুলের দেখানো পথেই শাসকদলের মোকাবিলা করতে চলেছেন সব্যসাচী৷ তাঁকে ঘিরে যে জট তৈরি হয়েছে, আইনি পথেই তা সমাধানের দিকে ঝুঁকছেন বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র৷ অন্যদিকে, প্রত্যেকবারের মতো, বৃহস্পতিবারও সব্যসাচীর বিজেপিতে যোগদানের প্রশ্ন এড়িয়ে গিয়েছেন মুকুল রায়৷ তবে গোপন সূত্রে খবর, বিজেপিতে যোগদানের দিনক্ষণ ঠিক করতেই এদিন সব্যসাচী দত্তর সঙ্গে এসেছিলেন মুকুলবাবু।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ওইদিন দুপুরেই দলীয় বিধায়কদের নিয়ে তৃণমূল ভবনে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়৷ প্রত্যাশিতভাবেই সেখানে গরহাজির ছিলেন সব্যসাচী। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, দল তাঁকে যতক্ষণ না বলবে তিনি মেয়র ও বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাবেন। যদিও তাঁর এই বক্তব্যকে স্ববিরোধী বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ তাঁদের মতে, সব্যসাচী একাধিকবার তৃণমূলে থাকার দাবি করেছেন। কিন্তু দলীয় স্তরে আনা অনাস্থার বিরুদ্ধে স্ট্র‌্যাটেজি ঠিক করতে পরামর্শ নিচ্ছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের থেকে। বঙ্গ রাজনীতিতে এই ধরনের কৌশলের আশ্রয় নিতে আগে কাউকে দেখা যায়নি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ