Advertisement
Advertisement
মুকুল রায়

‘মুখ্যমন্ত্রীর জন্যও বিজেপির দরজা খোলা’, বিধানসভায় এসে মমতাকে খোঁচা মুকুলের

অন্য রাজ্যের সিমকার্ড ব্যবহার করে যোগাযোগ রাখছে তৃণমূল বিধায়করা, দাবি বিজেপি নেতার

BJP leader Mukul Roy slams CM Mamata Banerjee in WB assembly
Published by: Tanujit Das
  • Posted:August 30, 2019 3:30 pm
  • Updated:August 30, 2019 3:31 pm

রাহুল চক্রবর্তী: দু’বছর পর বিধানসভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়৷ কটাক্ষের সুরে জানালেন, মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিতে আসতে চাইলে, তাঁকেও স্বাগত৷ বিজেপি একটা সমুদ্র, এখানে অনেকেই স্নান করতে চাইছে৷ তবে সেক্ষেত্রে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিজেপির নীতি-আদর্শ মেনেই কাজ করতে হবে৷

[ আরও পড়ুন: ফের জাতীয় স্তরে পুরস্কৃত রাজ্যের প্রকল্প, প্রসূতিদের জন্য ব্যবস্থায় মিলল ‘স্কচ অ্যাওয়ার্ড’]

Advertisement

শুক্রবার দুপুরের বর্ষাকালীন অধিবেশন চলার সময় বিধানসভায় ঢোকেন মুকুল রায়৷ দু’বছর পর বিধানসভায় এসে পুরনো পরিচিতদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন তিনি৷ সকলের খোঁজ খবর নেন৷ এরপরই তিনি সোজা চলে যান বিজেপির বিধায়কদের পরিষদীয় দলের ঘরে৷ সেখানে উপস্থিত দলের বিধায়কদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন৷ একদিকে যখন বিধানসভায় এসেছেন মুকুল রায়, ঠিক তখনই অধিবেশন কক্ষে গণপিটুনি বিলের উপর বক্তব্য রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তা জানতে পেরেই গণপিটুনি রোখার পক্ষে সওয়াল করেন বিজেপি নেতা৷ গণপিটুনির মতো ঘটনা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি৷

Advertisement

এরপরই সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন মুকুল রায়৷ সরাসরি বলেন, ‘‘বিজেপির নীতি-আদর্শ মেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও যদি বিজেপিতে আসতে চান, তবে তাঁর জন্যও দরজা খোলা৷ বিজেপি একটা বৃহত্তর রাজনৈতিক দল৷ এখানে অনেকে আসবে, অনেকে যাবে৷ বিজেপি একটা সমুদ্র৷ সবাই এখানে স্নান করতে চাইছে৷ এর সদস্য হতে চাইছে৷ মুখ্যমন্ত্রী আসতে চাইলেও, আমার মনে হয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কোনও সময়ই আপত্তি করবে না৷ তাঁকেও দলে স্বাগত জানাবে৷’’

[ আরও পড়ুন: ডিউটি ‘ফাঁকি’ দিয়ে পুরুলিয়ায় স্কুলে পড়াচ্ছেন, চাকরি যাচ্ছে পুলিশের সেই ‘শবর পিতা’র ]

পাশাপাশি, এদিন বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠকও করেন মুকুল রায়৷ মনোজ টিগ্গা, জুয়েল মুর্মুদের বিধানসভার ভিরতে ও বাইরে শাসক বিরোধিতার সুর আরও চড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি৷ আত্মবিশ্বাসের সুরে দাবি করেন, আসন্ন যে তিনটি বিধানসভার উপনির্বাচন রয়েছে অর্থাৎ কালিয়াগঞ্জ, খড়গপুর সদর ও করিমপুর, তিনটেই জিতবে বিজেপি৷ এখানেই শেষ নয়, ফের একবার তিনি দাবি করেন, শতাধিক তৃণমূল বিধায়ক তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে৷ দলের নজর এড়াতে অন্য রাজ্যের সিম কার্ড ব্যবহার করে ফোনে যোগাযোগ করছে তাঁরা৷ ইতিমধ্যে তাঁদের নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর দিল্লিতে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি৷ তবে সেই তালিকায় রায়দিঘির বিধায়ক দেবশ্রী রায়ের নাম নেই বলেই জানান মুকুল রায়৷

[ আরও পড়ুন: বাঙালি তন্বীরা বহুগামী! নারীবিরোধী পোস্টে বিপাকে যুবক ]

শুক্রবার এক ঘণ্টার কিছু কম সময় বিধানসভায় ছিলেন মুকুল রায়৷ এরই মধ্যে নারদা কাণ্ডে দলের মন্ত্রী, বিধায়ক, সাংসদদের সিবিআইয়ের তলব করা নিয়েও তৃণমূলকে খোঁচা দেন তিনি৷ বলেন, ‘‘আমাকেও সিবিআই ডেকেছিল৷ আমিও গিয়েছিলাম৷ যা জানতাম বলে এসেছি৷ আমি তো ভয় পাচ্ছি না৷ আমি যে টাকা নিয়েছি, ভিডিওতে তেমনটা তো দেখা যায়নি৷ একজন আমার কাছে টাকা নিয়ে এসেছিল, আমি বলেছিলাম দলের অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন৷ আমার কথা তো কোনও অসঙ্গতি নেই৷’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ