দীপঙ্কর মণ্ডল: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর হস্তক্ষেপ ছাড়া তিনি বাম ও তৃণমূলের ঘেরাও থেকে মুক্ত হতে পারতেন না বলে দাবি করলেন স্বপন দাশগুপ্ত। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্ট সদস্য ও বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ স্বপনবাবু বুধবার বিশ্বভারতীতে একটি আলোচনায় যোগ দিতে যান। বিষয় ছিল ‘সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন‘। এই অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরেও প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পড়ুয়াদের একাংশের দ্বারা ঘেরাও হয়ে থাকেন তিনি। তাঁকে হেনস্তা করা হয় বলেও অভিযোগ। এই হেনস্তার পিছনে তৃণমূলের হাত আছে বলে পরিষ্কার অভিযোগ করেন বিজেপির থিঙ্কট্যাঙ্কের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাতের দশকের স্মৃতি ফিরিয়ে আনছেন বলেও দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এই বিষয়ে প্রতিবাদ জানাতে সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করেছিল জাতীয়তাবাদী নাগরিক মঞ্চ। সেখান বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বপনবাবু অভিযোগ করেন, ‘শুধুমাত্র বাম এবং অতিবাম ছাত্ররাই নয় তাঁকে ঘেরাও করার পিছনে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বও মদত দিয়েছে। স্বপনবাবু বলেন, ‘দীর্ঘ সময় ঘেরাও থাকার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ফোন করেছিলেন। তারপরই দেখলাম লাল পতাকাধারী এবং স্থানীয় তৃণমূলের অংশ ফাঁকা হতে শুরু করে।’
[আরও পড়ুন: শিশুর মুখে ‘আজাদি’ স্লোগান, পার্ক সার্কাসে নতুন মাত্রা পেল CAA-NRC বিরোধী প্রতিবাদ ]
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় রাজ্য পুলিশের ডিজির উদ্দেশ্যে টুইট করে সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তকে মুক্ত করার উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন। আজ এই কথা স্মরণ করে রাজ্যপালকে ধন্যবাদ জানান স্বপনবাবু। এরপরই ঘেরাওকারীদের হাতে বাঁশ এবং লোহার রড ছিল বলে দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অচিন্ত্য বিশ্বাস বুধবারের ঘটনার পিছনে বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হাত থাকার সম্ভাবনা আছে বলে দাবি করেন।
[আরও পড়ুন: বিরোধী ঐক্যে ছন্দপতন, দিল্লিতে সোনিয়ার ডাকা বৈঠক বয়কট করলেন মমতা ]
রন্তিদেব সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমরা শুধু বুধবারের ঘেরাও ঘটনার নিন্দাই করছি না। কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নের কাছে এই ঘটনার তদন্ত করার দাবি করছি। যারা ঘেরাও করেছিল তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ও বর্তমানে শিবপুর IIEST’র অধ্যাপক অভিজিৎ চক্রবর্তী এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন। আর বৈঠকে হাজির থাকা বিজ্ঞানী নিশীথ দাস রাজ্যের শাসকদলের দিকে আঙুল তোলেন।
দেখুন ভিডিও: