Advertisement
Advertisement

তৃণমূলকে চাপে ফেলতে তৎপর বাংলার বিজেপি সাংসদরা, নয়া কৌশল গেরুয়া শিবিরের

সংসদের অধিবেশনকে প্রতিবাদের প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করতে তৎপর বঙ্গ বিজেপি৷

BJP MPs from West Bengal plans new strategy to make trouble for TMC

ফাইল ছবি

Published by: Tanujit Das
  • Posted:June 16, 2019 1:13 pm
  • Updated:June 16, 2019 1:13 pm

রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: আসন্ন লোকসভা অধিবেশনে প্রথম থেকেই বাংলার শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হবেন রাজ্য থেকে নির্বাচিত বিজেপির ১৮ জন সাংসদ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় তো বটেই , লোকসভা ভোট এবং পরবর্তী সময়ে পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসার বিষয়টি নিয়ে তৃণমূলকে চাপে রাখাই কৌশল গেরুয়া শিবিরের। সেই মতোই ঠিক হচ্ছে স্ট্র‌্যাটেজি।

[ আরও পড়ুন: এনআরএস কাণ্ডে চিন্তিত বুদ্ধিজীবী মহল, অপর্ণা সেনের নেতৃত্বে গঠিত সম্প্রীতি মঞ্চ]

Advertisement

তবে শুধু ‘সন্ত্রাস’ ইস্যুই নয়, এনআরএস কাণ্ডকে সামনে রেখে বিভিন্ন সময়ে ডাক্তারদের উপর যেসব হামলার ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে সেগুলিও অধিবেশনে তুলে ধরতে চান বাংলার সাংসদরা। সংসদের অধিবেশনকে প্রতিবাদের প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্যবহার করে সারা দেশের কাছে বাংলার হিংসার ঘটনা থেকে চিকিৎসক নিগ্রহ তুলে ধরে তৃণমূলকে পাল্টা আক্রমণের কৌশল নিতে চলেছেন এ রাজ্য থেকে নির্বাচিত ১৮ জন বিজেপি সাংসদ। দিল্লিতে সংসদের সামনে ধরনা-অবস্থানও করতে পারেন তাঁরা।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: স্মৃতিশক্তি লোপ পাচ্ছে পরিবহর, দাবি জুনিয়র চিকিৎসকদের ]

১৭ জুন থেকে সপ্তদশ লোকসভার অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। চলবে ২৬ জুলাই পর্যন্ত। শনিবারই দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন বাংলা থেকে নির্বাচিত অধিকাংশ সাংসদই। এবার সাংসদদের মধ্যে থেকে রাজ্যভিত্তিক ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা হুইপ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সাংসদদের হুইপ নিয়োগ করা হয়েছে মালদহ (উত্তর) কেন্দ্রের সাংসদ খগেন মুর্মুকে। খগেনবাবু জানান, “পঞ্চায়েতের এবং লোকসভা ভোটের পরে তৃণমূল রাজ্যে লাগাতার খুন-সন্ত্রাস চালাচ্ছে। বহু বিজেপি কর্মী আক্রান্ত।

সম্প্রতি সন্দেশখালির ঘটনাও অত্যন্ত ভয়াবহ। যেভাবে সেখানে বিজেপি কর্মীদের খুন করা হয়েছে তা ভয়ংকর। এই বিষয়টি আমরা জিরো আওয়ারে তুলে ধরতে চাই।” এনআরএসে চিকিৎসকের উপর হামলার ঘটনাটিকেও সংসদের অধিবেশনে তুলে ধরার পরিকল্পনা করেছে গেরুয়া শিবির। বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ ডাঃ সুভাষ সরকার জানান, চিকিৎসকদের উপর যেভাবে হামলার ঘটনা ঘটছে সেটা অধিবেশনে তুলে ধরব। সুভাষ বাবুর কথায়, ‘‘২০১৭-র ফেব্রুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত চিকিৎসকদের উপর ২৩৩ টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সেভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’’

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ