Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনা

সংক্রমিত রাজ্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের এসকর্ট গাড়ির চালক, চিন্তায় কেন্দ্র

আজই রাজ্যে সফর শেষ হয় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের।

BSF escort diver report positive today in kolkata, IMCT tanced
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:May 4, 2020 9:30 pm
  • Updated:May 4, 2020 9:31 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার চিন্তার ভাঁজ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কপালে। করোনায় আক্রান্ত কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের এসকর্ট গাড়ির চালক। সোমবার এই প্রতিনিধি দল রাজ্য ছেড়ে চলে যাওয়ার সময়ই জানা যায় সেই তথ্য।

রাজ্যে ১৫ দিনের জন্য করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। আজই তাদের সফর শেষ হয়। তবে তাদের রাজ্য়ে থেকে ফিরে যাওয়ার সমই জানা যায়, তাঁদের এসকর্ট গাড়ির চালক করোনায় আক্রান্ত। যদিও তিনি প্রতিনিধি দলের কারও সংস্পর্শে আসেননি বলেই জানা যাচ্ছে। ৩০ এপ্রিলই আক্রান্ত কর্মীকে কাজ থেকে সরিয়ে কোয়ারেন্টাইনে পাঠান হয়। তবে কারা তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সম্প্রতি এই খবরই ঘুম কাড়তে পারে রাজ্য থেকে ফেরত যাওয়া কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের। এমনটাই মনে করছে রাজ্যের বিশেষজ্ঞরা। 

Advertisement

[আরও পড়ুন:‘কাছে নয়, মনে থাকুন’, সামাজিক দূরত্বের বার্তা দিয়ে নয়া পোস্টার পুরুলিয়া জেলা প্রশাসনের]

প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে এই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল রাজ্যে থেকে করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।দুই সপ্তাহের পর্যবেক্ষণ কালে তাঁরা বালিগঞ্জের বিএসএফের ক্যাম্পে যান। কলকাতা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে তারা দক্ষিণের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। তবে দক্ষিণের জেলা পরিদর্শনের সময় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বার বার ছান্ডা লড়াই হয়েছে রাজ্য সরকারের। এমনকি শেষের দিনেও রাজ্য সরকারকে কড়া চিঠি দিতে ছাড়েননি তাঁরা। করোনা নিয়ে রাজ্যে তথ্য গোপন করার অভিযোগ তোলেন তাঁরা। পাশাপাশি রাজ্যে অসহযোগিতারও বিরুদ্ধেও চিঠিতে সোচ্চার হন তাঁরা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের প্রধান অপূর্ব চন্দ্র চিঠিতে অভিযোগ করেন, “দেশের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাংলায় মৃত্যুর হার সবথেকে বেশি। তবে এই রাজ্যে সবচেয়ে কম করোনা পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করা হয়। ৩০ এপ্রিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যে স্বাস্থ্য বুলেটিন প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে যে সংখ্যক অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা দেখানো হয়েছিল, কেন্দ্র সরকারকে পাঠানো রিপোর্টে সেই রোগীর সংখ্যা তার থেকে অনেক বেশি। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা বুলেটিনে বলা হয়েছে, অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৫৭২। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারকে পাঠানো রিপোর্টে রোগীর সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৯৩১। পাশাপাশি চিঠিতে মৃতের সংখ্যা নিয়েও তথ্য লুকোনো ও অসহযোগিতার মতো গুরুতর অভিযোগ তোলেন।”

[আরও পড়ুন:‘সামাজিক দূরত্ব অমান্য করলে প্রত্যাহার করা হবে লকডাউনের ছাড়’, কড়া হুঁশিয়ারি কেজরিওয়ালের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ