Advertisement
Advertisement
Calcutta HC

৩১ বছর জেলে, মেয়াদের আগেই বউবাজার বিস্ফোরণের চক্রী খালিদকে মুক্তির নির্দেশ আদালতের

১৯৯৩ সালের ১৬ মার্চ গভীর রাতে ২৬৭ বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের দোতলা বাড়িটি ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে যায়। মৃত্যু হয় ৬৯ জনের।

Calcutta HC orders premature release of Bowbazar bomb blast convict

ছবি: প্রতীকী

Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:April 11, 2024 1:27 pm
  • Updated:April 11, 2024 1:27 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩ দশক কেটে গিয়েছে কারাগারে। এবার বন্দিজীবনে ইতি টেনে সমাজের মূলস্রোতে ফেরানো হোক বউবাজারের বিধ্বংসী বিস্ফোরণের চক্রী মহম্মদ খালিদকে। রাজ্যকে এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চের নির্দেশ, মেয়াদ শেষের আগেই মুক্তি দিতে হবে বউবাজার বিস্ফোরণের অন্যতম চক্রীকে। যদিও এই রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা আছে বলে পালটা দাবি রাজ্যের। যার জেরে চার সপ্তাহের জন্য ওই রায় কার্যকরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।

১৯৯৩ সালের ১৬ মার্চ গভীর রাতে ২৬৭ বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের দোতলা বাড়িটি ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে যায়। মৃত্যু হয় ৬৯ জনের। সেই মামলায় একদা কলকাতার সাট্টা কারবারের ‘বেতাজ বাদশা’ রশিদ খানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। বলা হয়, রশিদ খানের কাছে যে পরিমাণ বিস্ফোরক ছিল, তা গোটা কলকাতা উড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। মহম্মদ খালিদ সেই রশিদের ছায়াসঙ্গী। ওই মামলায় তাঁকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। কয়েক বছর আগে খালিদ জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার দাবিতে রাজ্য সরকারের ‘সেনটেন্স রিভিউ বোর্ডে’ আবেদন করে। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এর পর আদালতের দ্বারস্থ হয় খালিদ (Mohammad Khalid)।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে প্রধানমন্ত্রীর হাতিয়ার পরিবারতন্ত্র, স্ট্যালিন বললেন, ‘আপনি দুর্নীতির বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য’]

খালিদের দাবি ছিল, তিন দশকের জেলজীবনে তাঁর চারিত্রিক পরিবর্তন হয়েছে। এবার সে সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে চায়। আদালত মঙ্গলবার জানায়, ১৫ দিনের মধ্যে খালিদকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিক সেনটেন্স রিভিউ বোর্ড। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ জানাল, “এ ক্ষেত্রে স্পষ্ট যে আবেদনকারীর ৩ দশকের চারিত্রিক পরিবর্তন সরকারের দৃষ্টি এড়িয়ে গিয়েছে। তার অতীতের ছায়া যদি বর্তমানের উপর এতটা প্রভাব ফেলে তাহলে সেটা অনভিপ্রেত। তাছাড়া শাস্তি দেওয়ার মূল উদ্দেশ্যই তো অপরাধীকে শুধরে সমাজের মূল স্রোতে ফেরানো।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: উড়ানে মদ্যপান, ‘অবাধ্য যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণে’ নির্দেশিকা DGCA-র]

এমনিতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিতদের মুক্তি দিতে রাজ্য সরকারের একটি ‘সেনটেন্স রিভিউ বোর্ড’ বা সাজা পুনর্বিবেচনা পর্ষদ রয়েছে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া বন্দির আচার-ব্যবহার কেমন, কতটা বদল হয়েছে তাঁর মানসিকতার, তিনি যে-অপরাধে জেল খাটছেন, সেই সাজা এত দিনে যথেষ্ট হয়েছে কি না ইত্যাদি বিষয় তাঁর মুক্তির ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত সাজা খাটার ১৪ বছর পরে  সরকারের সাজা পুনর্বিবেচনা পর্ষদ সংশ্লিষ্ট বন্দির মুক্তির বিষয়টি পর্যালোচনা করে। খালিদের ক্ষেত্রে জেলযাত্রার পর ৩১ বছর কেটেছে। সেটা বিবেচনা করেই ১৫ দিনের মধ্যে তাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সব ঠিক থাকলে দ্রুত সে মুক্তিও পাবে। তবে, রাজ্য সরকারের আপত্তিতে সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়া পিছিয়ে গিয়েছে মাসখানেক।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ