BREAKING NEWS

১৩ আশ্বিন  ১৪৩০  রবিবার ১ অক্টোবর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা কেন আটকানো হল? কেন্দ্রের রিপোর্ট তলব হাই কোর্টের

Published by: Paramita Paul |    Posted: June 6, 2023 1:30 pm|    Updated: June 6, 2023 9:04 pm

Calcutta HC sought report on payment of MNREGA scheme to Bengal | Sangbad Pratidin

গোবিন্দ রায়: বাংলার ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা কেন আটকানো হয়েছে? কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। ১০ দিনের মধ্যে কেন্দ্রকে দিতে হবে রিপোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি জুলাই মাসে। একইসঙ্গে প্রকল্পের টাকা নিয়ে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের যথাযথ তদন্তের নির্দেশও দিয়েছে আদালত।

রাজ্য সরকারের হিসেব বলছে, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ২ হাজার ৭০০ কোটি টাকা বকেয়া কেন্দ্রের কাছে। কেন্দ্র টাকা মেটাচ্ছে না বলে অভিযোগ রাজ্যের। পালটা কেন্দ্রের দাবি, রাজ্য়ে ১০০ দিনের কাজে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। তাই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এর বিরুদ্ধে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এ নিয়ে ভুয়ো একাউন্টে বা ভুয়ো নাম ব্যবহার করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ থাকলে কেন্দ্রকে তার যথাযথ তদন্ত করুক। কিন্তু এই প্রকল্পের সুবিধা যাদের প্রাপ্য, তারা যেন বঞ্চিত না হয় কেন্দ্রকেই সেটা দেখতে হবে। 

[আরও পড়ুন: Dilip Ghosh: ‘ভয় পেয়েছেন, উঠল বাই তো কটক যাই’, মুখ্যমন্ত্রীর ওড়িশা সফরকে খোঁচা দিলীপের]

এদিন মামলার শুনানিতে রাজ্যের আইনজীবী সম্রাট সেন জানান, “মনরেগা প্রকল্পের টাকা দেয় কেন্দ্র। কিন্তু ২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে কেন্দ্র টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।” তাঁর দাবি, “চার-পাঁচটা একশন টেকেন রিপোর্ট কেন্দ্রকে পাঠিয়েছে রাজ্য। কাজ হওয়ার পর মাস্টার রোল রেডি হয়ে গেলে কেন্দ্র ফান্ড ট্রান্সফার করে দেয়। ফাণ্ড ট্রান্সফার অর্ডার (FTO) করার সত্ত্বেও কোনও টাকা কেন্দ্র দেয়নি। রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে একাধিক বার অনুরোধ করা হয়েছে যাতে লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষকে ভুগতে না হয়। কিন্তু কিছু ফল হয়নি।” এর প্রেক্ষিতে বিচারপতির মন্তব্য, “রাজ্যের ‘একশন টেকেন’ রিপোর্ট হয় গ্রহণ করুন, অথবা বাতিল করুন। কিন্তু কিছু একটা পদক্ষেপ তো করতে হবে।”

কেন্দ্রের এডিশনাল সলিসিটর জেনারেল বিল্বদল ভট্রাচার্য বলেন, “কেন্দ্রের কাছে রিপোর্ট রয়েছে, ড্যামি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বানিয়ে, ভুয়ো জব কার্ড (যারা গ্রামে থাকে না তাদের নামে) বানানো হয়েছে। ভুল টেন্ডার দেখিয়ে মানরেগার টাকা লুট করা হয়েছে। যদিও ২০২১ সালের টাকা ইতিমধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান কেন্দ্রের আইনজীবী। এর পর ২০২২ সালে এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি সমস্ত ব্যাপারে কেন্দ্রের বক্তব্য জানাতে সময় দেওয়ার আরজি জানান।

[আরও পড়ুন: অন্য পুরুষের প্রেমে মত্ত নওয়াজউদ্দিনের স্ত্রী, ডিভোর্সের আগেই ‘কুকীর্তি’ ফাঁস আলিয়া সিদ্দিকির!]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে