সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতেই থাকছেন যাদবপুরের পোলিশ যুবক। সংশোধীত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধী মিছিলে হাঁটার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। এরপরই তাঁকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে ডেকে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে মামলা করেন পোলিশ যুবক।
দেশজুড়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (CAA) বিরুদ্ধে একসময়ে সোচ্চার হয়ে ওঠে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়। তখন থেমে থাকেনি যাদবপুরও। তারাও প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠে। পোল্যান্ডের বাসিন্দা কামিল সিডসিরিস্কি, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য বিভাগের পড়ুয়া। সেই সময় সিএএ বিরোধী মিছিলে হাঁটার অপরাধে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলিশ ছাত্রকে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অভিযোগ ওঠে, গত ১৯ ডিসেম্বর রামলীলা ময়দানে সিএএ বিরোধী সভায় যোগ দিয়েছিলেন কামিল। তারপর প্রতিবাদী মিছিলে তাঁকে দেখা যাওয়ার দরুন ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁকে ডেকে পাঠায় ফরেনার রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস বা এফআরআরও (Foreigner Regional Registration Office)। ১৫ দিনের মধ্যে তাকে দেশ ছাড়তে বলা হয়। তবে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন পোল্যান্ডের বাসিন্দা কামিল সিডসিরিস্কি। আজ সেই মামলার শুনানিজতে হাই কোর্টের বিচারপতি জানান,”পোলিশ ছাত্রটি নিছিলে যাননি। তিনি মিছিলটিকে অতিক্রম করতে তার পাশে হেঁটে যান। সেই সময়েই তিনি ক্যামেরাবন্দি হন। তাই মৌলিক অধিকারের ভিত্তিতে ছাত্রটিকে বিদেশ ফেরত পাঠানোর কোনও নির্দেশিকা জারি করা যায়না।”
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন যে কোনও মানুষকে নাগরিকত্ব দেবে কারোর নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না এই বক্তব্য বারংবার প্রচার করা সত্ত্বেও সিএএ-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান বহু মানুষ। তবে বাইরে থেকে ছাত্রেরা দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে ও দেশের বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবে তা বোধহয় মেনে নিতে পারেনি স্বারাষ্ট্রমন্ত্রক। তাই এই পোলিশ ছাত্রের বিরুদ্ধে রক্তচক্ষু হয়ে ওঠে।