Advertisement
Advertisement

Breaking News

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

ক্যাম্পাসে ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান তোলায় বদলি! কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় সমালোচনা

রুটিন বদলি নাকি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ, তা নিয়েই চলছে জোর চর্চা।

Calcutta University transfers staffer for chanting Jai Shri Ram
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:June 3, 2019 4:04 pm
  • Updated:June 3, 2019 6:03 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি তুলে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ প্রদর্শনের জের। ঘটনার দিন তিনেক পর বদলি করা হল আন্দোলনকারী এক শিক্ষাকর্মীকে। তবে এটা রুটিন বদলি বলে দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি উপাচার্য।

[আরও পড়ুন: প্রয়াত রুমা গুহঠাকুরতা, চলচ্চিত্র জগতে শোকের ছায়া]

ঘটনার সূত্রপাত হয় পে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির পর। ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর ষষ্ঠ পে কমিশন গঠন করা হয়েছিল রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো পুনর্গঠনের জন্য। তারপর থেকে বেশ কয়েক বার এই পে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২৬ মে পে কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়। নতুন পে কমিশনের অপেক্ষায় ছিল রাজ্য সরকারি কর্মীরা। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে ২৭ মে ফের ৭ মাসের জন্য পে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করে কমিশন। এরই প্রতিবাদে ৩১ মে বেলা ৩ টে নাগাদ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের গেট আটকে বিক্ষোভ দেখান বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মী। সেখানে পে কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকারের কুশপুতুল দাহ করা হয়। আন্দোলন চলাকালীন ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। দলীয় স্লোগান তুলে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে প্রায় ২ ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক স্লোগান কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই।    

Advertisement

[আরও পড়ুন: রামনামে আপত্তি নেই! বিজেপির বিভাজন নীতি থেকে সাবধান হওয়ার বার্তা মমতার]

সেই আন্দোলনে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন উপাচার্যের ঘরে কর্মরত এক ব্যক্তি। অভিযোগ, সেদিনের ঘটনার ‘শাস্তি’ দিতেই ওই শিক্ষাকর্মীকে বদলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, তাঁকে হরিণঘাটার ক্যাম্পাসে বদলি করা হয়েছে। ওই শিক্ষাকর্মী জানান, তাঁর বাড়ি থেকে হরিণঘাটার দূরত্ব অনেক। ফলে তাঁর পক্ষে যাতায়াত কার্যত অসম্ভব। তাই, কাছের কোনও প্রতিষ্ঠানে বদলির আবেদন জানিয়েছেন তিনি। তবে এদিনও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়।    

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ