ব্রতদীপ ভট্টাচার্য: দোরগোড়ায় বড়দিন আর ইংরেজি নববর্ষ। চারদিকে সাজ সাজ রব। আর এই উৎসবের মরশুমকে কাজে লাগিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছে পাচারকারীরা। শুধু মাদকই নয়, বাংলাদেশ থেকে এপারে আসছে নারীও। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বর্ষশেষে বাড়তি রোজগারের আশায় ভারতের অনুপ্রবেশ করছে বাংলাদেশি যৌনকর্মীরা। এপারে দালালদের হাত ধরে তারা পৌঁছে যাচ্ছেন বিভিন্ন যৌনপল্লিতে। আন্তর্জাতিক এই দেহব্যবসার চক্রটি নিয়ে চিন্তিত রাজ্যের গোয়েন্দাদের। ওপারের যৌনকর্মীদের এই অনুপ্রবেশ রুখতে তৎপরতা বেড়েছে পুলিশেরও।
[টেট-এ ফেল করেও নিশ্চিন্তে চাকরি, প্যানেল বাতিলের দাবিতে মামলা হাই কোর্টে]
বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশ নতুন নয়। মালদহ ও উত্তর ২৪ পরগনার মতো সীমান্তবর্তী জেলায় চোরাপথে মাদক, এমনকী নারী পাচারের মতো অপরাধ ঘটে। সেই পাচারকারীদের হাত ধরেই এবার এপারে চলে আসছে বাংলাদেশের যৌনকর্মীরাও। গোয়েন্দারা জানাচ্ছে, এক এক জন যৌনকর্মী পারাপার করাতে তিন থেকে চার হাজার টাকা নেয় পাচারকারীরা। এভাবেই প্রতিদিন দল বেঁধে ভারতের ঢুকে পড়ছে ১০ থেকে ১২ জন বাংলাদেশ যৌনকর্মী।
[ধৃত লস্কর জঙ্গি সমীরকে রাজ্যে আনার প্রক্রিয়া শুরু সিআইডির]
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে দেহ ব্যবসা বেআইনি নয়। সেখানে ২০টি নিষিদ্ধপল্লিতে রমরমিয়ে চলে দেহব্যবসা। এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ১৫০০ মহিলা। তবে শুধু যে পেশাদার যৌনকর্মীরাই এদেশে আসছেন, এমন নয়। গোয়েন্দাদের দাবি, বাড়তি রোজগারে আশায় এদেশের এসে দেহ ব্যবসার সঙ্গে হাত পাকাচ্ছেন ছাত্রী-সহ সমাজের নানাস্তরের মহিলারা। ফলে একদিকে যেমন গোপনীয় রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে, তেমনি মোট টাকাও রোজগার করছেন তাঁরা।
[পাসবুক আপডেটেই মিলছে ১ লক্ষ টাকা! জনস্রোত আছড়ে পড়ল ব্যাঙ্কে]
কিন্তু, এদেশে ঠিক কীভাবে কাজ করছে চক্রটি? গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, উত্তর ২৪ পরগনার ঘোজাডাঙা সীমান্তের কইজুরি, হাকিমপুর, জয়নগর এলাকা এবং পেট্রাপোলের আঙ্গরাইল, ছয়ঘরিয়া এসব অঞ্চলে দিয়েই ভারতে ঢুকছে নিষিদ্ধপল্লির ভিনদেশি রমণীরা। প্রথমে তাঁদের স্থানীয় একটি নিষিদ্ধপল্লিতে রাখা হয়। সেখান থেকেই এ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে তারা। তবে শুধু বড়দিন বা ইংরেজি নববর্ষেই নয়, বছরভর সীমান্ত লাগোয়া ওই নিষিদ্ধপল্লিতে বাংলাদেশে থেকে যৌনকর্মীদের পাচার করা হয়।
[পর্যটক টানতে নয়া উদ্যোগ, উত্তরবঙ্গে ভ্রাম্যমান অডিও-ভিজুয়াল সংগ্রহশালা