Advertisement
Advertisement
আত্মঘাতী সপ্তম শ্রেণির ছাত্র

লকডাউনে অবসাদ? অনলাইন ক্লাসের মাঝেই আত্মঘাতী কলকাতার সপ্তম শ্রেণির ছাত্র

তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

Class seven student committed suicide due to depression in Kolkata

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:September 2, 2020 8:45 pm
  • Updated:September 2, 2020 8:45 pm

অর্ণব আইচ: অনলাইন ক্লাস চলছিল সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রটির। বাড়ি থেকে বেরনোর আগে মা-বাবা ক্লাস করতেই দেখে গিয়েছিলেন ছেলেকে। কিন্তু মাকে অফিসে পৌঁছে দিয়ে বাবা বাড়ি ফিরে এসে দেখেন, গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বছর তেরোর ছেলে। এই নাবালক ছাত্রর আত্মহত্যার ঘটনায় উঠে এসেছে রহস্য।

জানা গিয়েছে, বিগত কয়েকদিন ধরেই অবসাদে ভুগছিল ছেলেটি। যদিও অবসাদের কারণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। লকডাউনের কারণে বহুদিন ধরে বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না ছেলেটি। তা থেকেই অবসাদ জন্ম নেয় কি না, পুলিশ তা জানার চেষ্টা করছে। আবার তার কোনও বন্ধু বা বান্ধবীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয়েছিল কি না, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। নাকি পড়াশোনা কিংবা অন্য কোনও বিষয়ে মা-বাবার বকাবকি খেয়ে এমন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তদন্তে সেই দিকটিও খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ শহরতলির রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকার কালীতলা পার্কের বাসিন্দা ১৩ বছরের ছেলেটি বান্দিপুর রোডের একটি স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র ছিল। তার বাবা রেলের ঠিকাদারের কাজ করায় বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকেন। আর মা দক্ষিণ শহরতলির একটি ক্লিনিকের কর্মী। লকডাউনের কারণে গত কয়েক মাস ধরে ছেলেটির বাবা বাড়িতে রয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘ভয়ংকর বিপদে গণতন্ত্র’, ফেসবুকের ‘পক্ষপাতিত্ব’ নিয়ে অমিত মালব্যকে বিঁধলেন নুসরত]

মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ স্কুলের অনলাইন ক্লাস শুরু হয়। ছেলেটি প্রত্যেক দিনের মতো ওই ক্লাস করছিল। তার আচরণ দেখে মা-বাবার কোনও সন্দেহ হয়নি। তার মাকে সাইকেল করে ক্লিনিকে পৌঁছে দিয়ে এসে বাবা সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বাড়িতে গিয়ে দেখেন, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। বার বার ধাক্কা দেওয়ার পরও ছেলেটি কোনও সাড়া দেয়নি। জোর করে ধাক্কা দিয়ে তিনি ছিটকিনি খুলে ভিতরে ঢুকে দেখেন, ওড়না গলায় দিয়ে সিলিং থেকে ঝুলছে সে। তাঁর চিৎকারে প্রতিবেশীরা আসেন। বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

তদন্তে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ জেনেছে, ওই নাবালক খুব চাপা স্বভাবের ছিল। গত কয়েকদিন ধরে অবসাদে ভুগছিল সে। যদিও অভিভাবকরা সেই অবসাদের কারণ জানাতে পারেননি। তদন্ত চলছে। তার বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

এদিকে, বুধবার রিজেন্ট পার্ক এলাকায় এক যুবক গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি প্রায়ই মদ্যপান করতেন। সেই কারণে সাংসারিক অশান্তি চলছিল বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে, ফুলবাগানের নারকেলডাঙা মেন রোডে একটি নার্সিংহোমের ছাদ থেকে রাঁধুনির দেহ উদ্ধার হয়। ছাদের একটি পাইপ থেকে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের বাসিন্দা সমীর মন্ডল (৪৮)। এদিনই পর্ণশ্রীর নিবেদিতা পার্ক এলাকায় জলে ডুবে মৃত্যু হয় অসিত রজক (৭০) নামে এক বৃদ্ধর। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে রাজ্যে হবেই লকডাউন, কেন্দ্রের নির্দেশিকার সমালোচনা করে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ