সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পরেই দেশজুড়ে জোরাল পাকিস্তান বিরোধী স্লোগান। এমন পরিস্থিতিতে জঙ্গিদের সমর্থনে ফেসবুকে ভারত-বিরোধী পোস্ট করায় কাঠগড়ায় দেবজিৎ ভট্টাচার্য নামে এ রাজ্যের এক যুবক।
কাশ্মীরের সন্ত্রাস চালানো জঙ্গিদের সমর্থন জানিয়ে সে পোস্টে লিখেছে, “কাশ্মীরের ‘বিপ্লবীরা’ যেমন ভারতের কাছে জঙ্গি, তেমন কাশ্মীরিদের কাছে ভারতের ধর্ষক সেনারাও জঙ্গি। এবছরে কাশ্মীরে ৩০০ জনেরও বেশি বিপ্লবী শহিদ হয়েছেন, আর আজ ৩০ জন ভারতীয় জঙ্গি মারা গেছে কাশ্মীরে। তাতে আমি ভীষণ খুশি। কারণ রাষ্ট্র মারবে আর সাধারণ মানুষ ছেড়ে দেবে – তা তো আর হয় না। কাশ্মীরিরা আরও বদলা নেবে। ৭০ লক্ষ ভারতীয় সেনাও কাশ্মীরের আজাদি আটকে রাখতে পারবে না। ভারত রাষ্ট্রকে গুঁড়িয়ে কাশ্মীর একদিন আজাদ হবেই হবে, আমি নিশ্চিত।”
এরপরই তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে এই পোস্ট ঘিরে। দেবজিতের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়ে পোস্ট করতে শুরু করেন নেটিজেনরা। তরুণজ্যোতি তেওয়ারি নামে এক নেটিজেন তো এগিয়ে গিয়ে দেবজিতের নামে লালবাজার সাইবার ক্রাইম থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের তরফে ওই পোস্টের লিঙ্ক চাওয়া হলে, তাও দেন।
কাঁধে শহিদের কফিন, জওয়ানদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন রাজনাথ সিংয়ের
তবে শুধু দেবজিতই নয়, বৃহস্পতিবারের হামলার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হয়ে উঠেছিল অন্য পাকিস্তানপ্রেমীরাও। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনাকে সমর্থন জানিয়ে তাদের মধ্যে একজন টুইট করে, ‘হাউ ইজ দ্য জইশ!’ কেউ আবার পুলওয়ামার হামলাকে “সার্জিকাল স্ট্রাইক ২.০” বলেও উল্লেখ করে। পরে অবশ্য পাকিস্তানপ্রেমী এই নেটিজেনদের অন্যতম আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের ছাত্র বাসিম হিলালের টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে তারপরও বন্ধ হয়নি সন্ত্রাসবাদীদের সমর্থনে টুইট করা। পুলওয়ামার ঘটনাকে আসল ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ বলে উল্লেখ করে টুইট করে আরও একজন। কেউ কেউ তো আবার এই ঘটনাকে জইশ-ই-মহম্মদের তরফে ভ্যালেন্টাইন ডে-এর শুভেচ্ছা বলেও কটাক্ষ করে।