Advertisement
Advertisement
ICSE-ISC পরীক্ষা

কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ হলে দেওয়া যাবে ICSE-ISC পরীক্ষা, কলকাতার স্কুলের নোটিসে বিতর্ক

কীভাবে স্কুল এমন নোটিস দিতে পারে, প্রশ্ন অভিভাবকদের।

Corona negative report mandatory to appear in ICSE, ISE exam
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 18, 2020 3:16 pm
  • Updated:June 18, 2020 3:35 pm

দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনা সংক্রমণের কারণে আইসিএসই ও আইএসসি বন্ধ রয়েছে। তবে তারই মাঝে নোটিস জারি করে বিতর্কে জড়াল কলকাতার বেসরকারি স্কুল। জানানো হয়েছে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই বসা যাবে পরীক্ষায়। বুধবার কলকাতার সেন্ট অগাস্টিন ডে স্কুলের ওয়েবসাইটে এই নোটিসটি দেখতে পান অভিভাবকরা। পরীক্ষায় বসাতে চাইলে ছাত্রছাত্রীদের কোভিড পরীক্ষা করানোর ফতোয়ায় বেজায় ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। 

এর আগে আইসিএসই (ICSE) ও আইএসসি-র (ISC) স্থগিত পরীক্ষা ঐচ্ছিক বলেই জানানো হয়েছে। আরও জানানো হয়েছে, আগামী ২৪ জুনের মধ্যে স্কুলে গিয়ে জানাতে হবে কেউ পরীক্ষা দিতে চায় কিনা। এক্ষেত্রে কেউ চাইলে পরীক্ষায় বসতেও পারে আবার কেউ নাও বসতে পারে। পরীক্ষায় না বসলে ‘প্রি বোর্ড’-এ পাওয়া নম্বরের ভিত্তিতে মার্কশিট দেবে কর্তৃপক্ষ। করোনা সংক্রমণ এড়াতে পরীক্ষা স্থগিত করেছিল সিআইএসসিই। পরে ঘোষণা করা হয় জুলাই মাসেই আইসিএসই এবং আইএসসি-র বাকি পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে। সিআইএসসিই কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যে পরীক্ষা দিতে চায় অথবা যে দিতে চায় না উভয় পক্ষকেই লিখিতভাবে নিজেদের ইচ্ছার কথা স্কুলে জানাতে হবে। ২-১২ জুলাইয়ের মধ্যে আইসিএসই ২০২০-র দশম শ্রেণির স্থগিত পরীক্ষা হওয়ার কথা। আইএসসির দ্বাদশ শ্রেণির বাকি পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে ১-১৪ জুলাইয়ের মধ্যে। 

Advertisement

[আরও পড়ুন: লাদাখে হামলার প্রতিবাদে চিনা কনস্যুলেটের সামনে কম্পিউটার পুড়িয়ে বিক্ষোভ বিজেপির]

তারপরেও স্কুলের তরফে কীভাবে এমন নোটিস জারি করা হল, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। স্কুলের তরফে আরও জানানো হয়, ২৫ জুনের মধ্যে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কোনও পড়ুয়া পরীক্ষায় বসতে না চাইলে তার প্রি বোর্ডের নম্বর বাকি পরীক্ষাগুলির নম্বর হিসেবে যোগ করে দেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় বসবে কিনা সেটা ১৯ জুনের মধ্যে স্কুলে জানিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশিকায় বেজায় চটেছেন অভিভাবকরা। কীভাবে একটি স্কুল এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সেই প্রশ্ন করেন তাঁরা। যদিও এ বিষয়ে এখনও স্কুলের প্রিন্সিপালের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মানসিক অবসাদের জের! খাস কলকাতায় একই দিনে আত্মহত্যা ৭ জনের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ