শুভময় মণ্ডল: করোনা আতঙ্কে যেখানে রাজ্যের সমস্ত স্কুল-কলেজ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছে জমায়েত। সেখানে আন্দোলনের ভবিষ্যত নিয়ে ধন্দ পার্ক সার্কাসের সিএএ-এনআরসি-এনপিআর বিরোধী অবস্থানে। কলকাতার ‘শাহিনবাগ’ তকমা পাওয়া পার্ক সার্কাস ময়দানের আন্দোলনে এখন আতঙ্ক ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। কিন্তু আন্দোলন বন্ধ করতে নারাজ বিক্ষোভকারীরা। বরং আন্দোলনের মধ্যেই করোনা নিয়ে প্রত্যেককে সচেতন করছেন উদ্যোক্তারা।
সোমবার রাতেই একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন আন্দোলনের পুরোধা আসমত জামিল। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন, করোনা নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে প্রত্যেক আন্দোলনকারীকে। উদ্যোক্তাদের তরফে বিক্ষোভকারীদের মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিলি করা হয়েছে। যারা বিক্ষোভস্থলে আসছেন তাঁদেরকেও করোনা সচেতনতায় মাস্ক পরা এবং হাত পরিষ্কার করে ধোয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ধরনাস্থলে স্লোগান-গানের মাঝেই করোনা নিয়ে সচেতনতা বার্তা দিচ্ছেন উদ্যোক্তারা। জানিয়েছেন আসমত জামিল। তবে ভয় একটা থেকেই যাচ্ছে। যেখানে দেশের সর্বত্র জমায়েত-ধরনা নিষিদ্ধ হয়েছে, সেখানে পার্ক সার্কাসের ধরনাস্থলেও আতঙ্ক ছড়িয়েছে। সূত্রের খবর, ধীরে ধীরে ফাঁকা হচ্ছে ধরনাস্থল।
[আরও পড়ুন: গোমূত্রেই করোনা মুক্তি! খাস কলকাতায় পথচলতিদের ‘মহৌষধ’ পান করালেন বিজেপি নেতারা]
উল্লেখ্যে, মঙ্গলবার ৭১ দিনে পড়েছে আন্দোলন। সপ্তাহের কাজের দিনগুলিতে পার্ক সার্কাসের ধরনাস্থলে দুই থেকে আড়াই হাজার মানুষের জমায়েত হয়। সেখানে প্রত্যেককে মাস্ক ও স্যানিটাইজার সরবরাহ করা খরচসাপেক্ষ ব্যাপার। অনেকেই নিজে থেকে মাস্ক-স্যানিটাইজারের বন্দোবস্ত করছেন। উদ্যোক্তারা যেটুকু সম্ভব করছেন। অন্যদিকে, এটাও জানা গিয়েছে যে, ধরনায় বসা অধিকাংশ মহিলার স্বামী-পরিজনরা সৌদি আরব, কাতার ও মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কর্মসূত্রে রয়েছেন। তাঁরা এই মুহূর্তে সেখানেই আটকে রয়েছেন। দেশে ফেরার জন্য আকুল তাঁরা। কিন্তু পরিজনদের আপাতত দেশে না ফেরারই পরামর্শ দিচ্ছেন পার্ক সার্কাসের বিক্ষোভকারীরা। সবমিলিয়ে এই পরিস্থিতিতে আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্যোক্তারা দোলাচলে। তারা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে ধরনা চলে। কিন্তু করোনা আতঙ্কে এই আন্দোলন কতদিন চলবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিক্ষোভকারীদের মধ্যেই।