ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: চিনের অতি সংক্রামক করোনা ভ্যারিয়েন্ট BF.7 এবার বাংলায়। রাজ্যে হদিশ মিলল চার আক্রান্তের। সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেককে চিহ্নিত করা হয়েছে। সুস্থ আছেন সকলেই। তবে করোনার নয়া স্ট্রেন নিয়ে এখনই অযথা দুশ্চিন্তার কোনও কারণ বলেই মত স্বাস্থ্যদপ্তরের। রাজ্যের প্রতিটি হাসপাতালকে পরিকাঠামো উন্নয়নে জোর দিতে বলা হয়েছে। করোনা রোগীর চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, গত ১ মাসে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে পাঠানো হয়। তাতেই চারজনের শরীরে মিলেছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এর হদিশ। তাঁদের মধ্যে একজন কলকাতায় বসবাসকারী। আদতে তিনি বিহারের বাসিন্দা। তাঁর সংস্পর্শে আসেন ২২ জন। বাকি তিনজন নদিয়ার। তাঁরা একই পরিবারের সদস্য। ওই তিনজনের সংস্পর্শে এসেছিলেন মোট ৩৩ জন। সংক্রমিত এবং সংক্রমিতদের সংস্পর্শে আসা প্রত্যেকেই বর্তমানে সুস্থ রয়েছেন।
তবে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই বলেই মত রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের। প্রোটোকল মনিটরিং টিম একটি বৈঠক করে। করোনার নয়া স্ট্রেন মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু হয়েছে প্রস্তুতি। আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে সমস্ত হাসপাতালগুলিকে করোনা রোগীর চিকিৎসায় উপযোগী হিসাবে তৈরি হতে বলা হয়েছে।
হাসপাতালের যে সমস্ত কর্মীরা কোভিড চিকিৎসায় প্রশিক্ষিত নন, তাঁদের ট্রেনিংয়ের বন্দোবস্ত করতে হবে। মূলত বাঙ্গুর হাসপাতাল এবং বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালেই আপাতত করোনা রোগীদের ভরতি নেওয়া হবে। যাঁদের শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেবে, শুধুমাত্র সেই সব রোগীকেই হাসপাতালে ভরতি করা হবে। বাকিদের বাড়িতেই থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে। হাসপাতালগুলিকে অক্সিজেন থেরাপির বন্দোবস্ত রাখতে হবে। অক্সিজেন সিলিন্ডার, পাইপলাইন ঠিক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। প্রত্যেককে পরতে হবে মাস্ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.