Advertisement
Advertisement

Breaking News

বন্ধ মেডিসিন ওয়ার্ড

মৃত ২ রোগীর রিপোর্ট পজিটিভ, বন্ধ করা হল আরজি কর হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ড

NRS-এর পুনরাবৃত্তি আরজ কর মেডিক্যাল কলেজেও।

COVID-19: Medicine ward of RG Kar Medical College and Hospital shuts
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:April 11, 2020 2:15 pm
  • Updated:April 11, 2020 2:15 pm

গৌতম ব্রহ্ম: এনআরএস হাসপাতালের পুনরাবৃত্তি এবার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজেও। সূত্রের খবর, শনিবার আরজি কর হাসপাতালে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ২ জনের দেহে পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যে করোনা আক্রান্তে ১ জন বৃদ্ধার মৃত হয়েছে। তড়িঘড়ি হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ড বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরজিকর হাসপাতাল সূত্রের খবর, হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের পরীক্ষা করা হচ্ছে। গোটা বিষয়টির উপর নজর রেখেছে স্বাস্থ্যভবন।

জানা গিয়েছে, হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ড সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওয়ার্ডের অন্য রোগীদের অন্য ওয়ার্ডে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এখন ওয়ার্ডে চলছে জীবাণুমুক্তকরণের কাজ। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জরুরি বৈঠক করেছেন। পরবর্তী পদক্ষেপের মধ্যে কোন কোন চিকিৎসক, নার্স বা স্বাস্থ্যকর্মীর পরীক্ষা করা হবে, কাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে সেইসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বৈঠকে। এনআরএস-এর ঘটনায় চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট ৫৮ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছিল। বুধবার সকালে ৪০ জনের পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে আসে। কারও শরীরে মেলেনি করোনা ভাইরাসের নমুনা। এর আগে আরও ৩০ জনের করোনা রিপোর্টও নেগেটিভ আসে। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ৭০ জনের রিপোর্ট হাতে এসেছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: করোনা সংক্রমণ রুখতে চিহ্নিত বাংলার হটস্পট, জায়গাগুলি সিল করার প্রস্তুতি নবান্নে]

আরজি কর হাসপাতালের ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, ১৫ জন চিকিৎসক-নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এবং তাঁদের লালারসের নমুনাও সোয়াব টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই মেল মেডিসিন ওয়ার্ডে ১০ জন রোগী ছিলেন। তাঁদেরও লালারসের নমুনা সোয়াব টেস্টের জন্য পাঠআনোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শনিবার রোগী কল্যাণ সমিতির বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়। আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. শুদ্ধোদন বটব্যাল এই খবর দিয়ে জানিয়েছেন, ‘ওই ওয়ার্ডটি ফিউমিকশনের মাধ্যমে জীবাণুমুক্তকরণ চলছে।জানা গিয়েছে, ওই রোগীর একাধিক Co Mordibility ছিল। তাই প্রথমদিকে সন্দেহ হয়নি। পরে এক পিজিটির সন্দেহ হওয়ায় তাঁর লালারসের নমুনা সোয়াব টেস্টের জন্য পাঠানো হয়।’ কিন্তু এখন প্রশ্ন হল কেন বারবার একইরকম ভুল হচ্ছে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারদের। তবে এই বিষয়ে এখনও হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যদপ্তর কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। স্বাস্থ্যকর্তাদের সিদ্ধান্তের উপরই পরবর্তী পদক্ষেপ কী করা হবে তা নির্ভর করছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সুপারই করোনা আক্রান্ত, হাওড়া হাসপাতালে চিকিৎসা আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ