রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ও অরিজিৎ গুপ্ত: হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং নিকটবর্তী কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিদর্শনের পর নিজেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন হাওড়া হাসপাতালের সুপার। তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ হওয়ায় এমআর বাঙুর হাসপাতালের আইসোলেশনে ভরতি করিয়ে শুরু হয়েছে চিকিৎসা। আর তার জেরে হাওড়া হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা চালু রাখার ঝুঁকি নিলেন না রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। তাই আপাতত হাওড়া হাসপাতালে কোনও রোগী আর ভরতি নেওয়া হবে না। ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে যাঁরা রয়েছেন, তাঁদেরও দ্রুত অন্যত্র স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়া হাসপাতালের সুপার করোনা আক্রান্ত বলে খবর মেলে। তিনি হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেখানকারই এক আধিকারিক তাঁকে এমআর বাঙুর হাসপাতালে এনে ভরতি করান। তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি নিয়ে শুরু হয় চিকিৎসা। এই ঘটনার পর হাওড়ায় স্বাস্থ্য দপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের বেশ কয়েকজন আধিকারিককে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কয়েকজন নার্স ও চিকিৎসককে রাখা হয়েছে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের কোয়ারেন্টাইন সেন্টার। সূত্রের খবর, এই সংখ্যাটা কমবেশি ২০০। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, হাওড়া এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা – পশ্চিমবঙ্গের এই দুই জেলা করোনার ‘হটস্পট’। তাই হাওড়া জেলায় বাড়তি নজরদারি চলছে। অধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে হাওড়া হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা আপাতত বন্ধ রাখা হল। গোটা হাসপাতাল জীবাণুনাশক স্প্রে দিয়ে পরিষ্কার করা হবে বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: করোনার কোপে বিশ বাঁও জলে উমার বিদেশযাত্রা, মন খারাপ কুমোরটুলির শিল্পীর]
এছাড়া করোনা সংক্রমণ রুখতে হাওড়ায় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রশাসন। সংক্রমণের আশঙ্কায় সালকিয়ায় জেলা সবচেয়ে বড় বাজার হরগঞ্জ বাজার অনির্দিষ্টাকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল। সম্প্রতি সালকিয়ায় যে করোনা আক্রান্ত মহিলার মৃত্যু হয়েছে, তাঁর বাড়ি এই বাজারের কাছেই। তাঁর পরিবারের সদস্যরা এখন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বাজারটি খোলা থাকলে, যেমন জনসমাগম বাড়বে, তেমনই সংক্রমণের আশঙ্কাও রয়েছে। তাই বাজারটি বন্ধ রেখে সংক্রমণ কিছুটা রোধ করার মরিয়া চেষ্টা করা হয়েছে। এই বাজারটিকেও স্যানিটাইজ করা হবে।