Advertisement
Advertisement

Breaking News

CPM

বিহারের ফলে চাঙ্গা বঙ্গ কমরেডরা, কানহাইয়া-তেজস্বী জুটিকে দিয়ে প্রচারের ভাবনা সিপিএমের

রোজগার, কর্মসংস্থান ইস্যুতে দুই তরুণ তুর্কীকে কাজে লাগাতে চায় জোটশিবির।

CPM is planning to make election campaign by Tejaswi Yadav and Kanhaiya Kumar after their performance in Bihar| Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:November 12, 2020 6:48 pm
  • Updated:November 12, 2020 8:23 pm

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: এনডিএ’র শক্তির কাছে শেষমেশ পরাজিত হলেও বিহারের লড়াইয়ে প্রায় ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলেছে মহাজোট। একুশে বাংলায় বাম গণতান্ত্রিক জোট, সঙ্গী কংগ্রেস। মহাজোটের লড়াইল দেখে উজ্জীবিত বাম, কংগ্রেস শিবির। ভবিষ্যতে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে জোটের দেখানো রাস্তাতেই বাংলার মানুষ হাঁটবে বলে মনে করছেন লালপার্টির নেতারা। বিজেপির সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে বামেদের রুটিরুজি ও কর্মসংস্থানের দাবিকেই রাজ্যের মানুষ ভোটবাক্সে সমর্থন জানাবে, এই আশায় বুক বাঁধছে বাংলার কমরেডকুল। মহাজোটের জোড়াফলাকে এ রাজ্যের কাজে লাগানোর চিন্তাভাবনাও শুরু করেছে জোট শিবির।

শুরুতে ২১। পরে কমে ১৯, ১৮, ১৭। মধ্যরাতে গণনা শেষে ১৬তেই থামতে হল বামেদের। তবে তিনটি আসনের গণনা নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ করেছেন CPIM লিবারেশনের সর্বভারতীয় সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। কারচুপির অভিযোগও করা হয়েছে। এনডিএ’র ঝুলিতে এত আসন না গেলে, বিহারের আরও কিছুটা জমি লাল আলোয় আলোকিত করা যেত বলে দাবি বামেদের। তবে যেটুকু করা গিয়েছে, তার প্রতিফলন বাংলার রাজনীতিতেও পড়তে বাধ্য। এমনই মনে করছেন বাম নেতারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: তেজস্বীকে ফোন, বিহারে দুর্দান্ত লড়াইয়ের জন্য অভিনন্দন মমতার]

বছর ঘুরলেই রাজ্যে ভোটে দামামা বাজবে। তার আগেই জোটে আসন ভাগাভাগির কাজ সেরে রাখতে চাইছে আলিমুদ্দিন-বিধানভবন। সেইসঙ্গে বিহারে মহাজোটের ভোটের ইস্যুকেই এ রাজ্যেও সামনে আনার কাজ শুরু করা হবে। ভোটারদের মনে দাগ কাটতে চলবে রাস্তায় নেমে সংগঠিত আন্দোলন। জনমনে ঠাঁই করে নিতে কাজে লাগানো হবে বিহার ভোটের মহাজোটের নতুন দুই তারকাকে। তেজস্বী যাদব (Tejaswi Yadav) ও কানহাইয়া কুমার (Kanhaiya Kumar)। রাজ্যে বাম জোটে যেহেতু আরজেডি রয়েছে তাই তেজস্বীকে প্রচারে আনতে সমস্যা হবে না বলেই ধারণা আলমুদ্দিনের ভোট ম্যানেজারদের। তবে তেজস্বী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই। আর কানহাইয়া তো তাঁদের শিবিরের পরিচিত মুখ, সিপিআই কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। এই দুই তরুণ তুর্কিকে বাংলার মাঠে নামাতে পারলে রুটিরুজি ও কর্মসংস্থান ইস্যু সহজেই উসকে দেওয়া যাবে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবে সিলমোহর, ভিড় নিয়ন্ত্রণে অফিস টাইমে চলবে ১০০% লোকাল ট্রেন]

তাছাড়া রাজ্যে বিহারি ও সংখ্যালঘু ভোটারদের মন কাড়তে এই দুই নেতা যথেষ্ট কার্যকরী হবে বলে নিশ্চিত জোটের সদস্যরা। সিপিএম সূত্রে খবর, এবার ভোটে তাদের সিংহভাগ প্রার্থীই হবে নতুন মুখ। পার্টির ছাত্র-যুব অংশকে ভোটযুদ্ধে সামনের সারিতে রাখার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত করেছে সিপিএম। বাকি শরিকদেরও বোঝানোর কাজ চলছে যাতে যুবদের কথা মাথায় রেখে প্রার্থী তালিকা তৈরি হয়। সিপিএম (CPM) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর মতে, “এবার তৃণমূল হারবেই। তবে তৃণমূলের ভোট যাতে কোনওভাবেই রাজ্যে পদ্ম ফোটাতে সাহায্য না করে সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। প্রচারে কোন কোন বিষয় রাখা হবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ