Advertisement
Advertisement

Breaking News

কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় শহিদ হাওড়ার জওয়ান, বাড়ি ফিরছে কফিনবন্দি দেহ

পাঁচ বছরের মেয়েকে রেখেই চলে গেলেন৷ কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্ত্রী ও মা৷

 CRPF jawan Babla Shantra martyred in Pulwama Terror attack in J&K
Published by: Tanujit Das
  • Posted:February 15, 2019 9:11 am
  • Updated:February 15, 2019 7:42 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেড় মাস আগে শেষবারের মতো বাড়ি এসেছিলেন তিনি৷ দু’দিন আগে ফোনও করেছিলেন৷ খোঁজ নেয়েছিলেন পাঁচ বছরের মেয়ে ও বৃদ্ধা মায়ের৷ বউকে বলেছিলেন, আর কয়েক মাসের অপেক্ষা, তারপরই বাড়ি ফিরে আসবেন৷ হ্যাঁ, তিনি ফিরছেন, তবে কফিন বন্দি অবস্থায়৷ কারণ, বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের পুলওয়ামার ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় শহিদ হয়েছেন হাওড়ার বাউরিয়ার চককাশী রাজবংশী পাড়ার বাসিন্দা সিআরপিএফ জওয়ান বাবলু সাঁতরা৷ দীর্ঘ কর্মজীবনে অনেক প্রতিকূল পরিস্থিতির মুখে পড়েছেন ভারতীয় সেনার এই বীর যোদ্ধা৷ বারাবরই রণক্ষেত্রে শত্রুর বুলেটের সামনেও নিডর ছিলেন তিনি৷ কিন্তু বৃহস্পতিবার পাক মদতপুষ্ট জইশ জঙ্গিদের কাপুরুশোচিত হামলায় শহিদ হন তিনি৷ শোকস্তব্ধ গোটা এলাকা৷

[কীভাবে কনভয়ে ঢুকে হামলা চালাল জঙ্গিরা? পুলওয়ামার ঘটনায় প্রশ্নের মুখে নিরাপত্তা]

Advertisement

Advertisement

বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের পুলওয়ামার অবন্তীপোরা এলাকায় সিআরপিএফের একটি কনভয় হামলা চালায় জঙ্গিরা। কনভয়টিতে ছিলেন ২৫০০ জন জওয়ান। জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ে-তে সেনা কনভয়টিতে আইইডি বোঝাই একটি গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ে এক জঙ্গি। সোজা গিয়ে ধাক্কা মারে সেনাবাহিনীর গাড়িকে৷ সংঘর্ষে প্রবল বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণের পর কনভয়টিকে ঘিরে ফেলে লাগাতার গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শহিদ হয়েছেন ৪৪ জন সিআরপিএফ জওয়ান। পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার পর একটি ভিডিও প্রকাশ করে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। ভিডিওতে অদিল আহমেদ দার নামে এক জঙ্গিকে দেখা গিয়েছে। সে’ই গাড়িটি চালাচ্ছিল বলে এখনও পর্যন্ত প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে৷ এই হামলার পর নড়চড় বসেছে গোটা দেশ৷ প্রতিশোধের আগুনে ফুটছে দেশবাসী৷ একই অবস্থা হাওড়ার সাঁতরা পরিবারেরও৷

[আত্মঘাতী জঙ্গির ভিডিও প্রকাশ, পুলওয়ামায় হামলার দায় স্বীকার জইশ-ই-মহম্মদের]

পরিবারের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, বাবলু সাঁতরাকে যে কাশ্মীরে পোস্টিং করা হচ্ছে, বিষয়টি তাঁরা আগে থেকেই জানতেন৷ তাই বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর থেকেই মনটা আনচান করছিল তাঁদের৷ এদিন সন্ধ্যায় হঠাৎ নয়াদিল্লি থেকে ফোন আসে৷ আর তারপরই পায়ের তলা থেকে মাটি সরে যায় সাঁতরা পরিবারের৷ জানতে পারেন, তাঁদের প্রিয় বাবলু আর নেই৷ শোকে ভেঙে পড়ে গোটা পরিবার৷ প্রতিবেশীরা এসে তাঁদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন৷ বোঝাচ্ছেন, দেশ মাতৃকার জন্য নিজের বলিদান দিয়েছেন বাবলু৷ কিন্তু মন মানছে না তাঁদের৷ বারবার মনে হচ্ছে, আর কোনওদিন ফিরবে না ছেলেটা৷ কয়েক মাস পরেই চাকরির মেয়াদ শেষ হয়ে যেত এই জওয়ানের৷ দেড় মাস আগে যখন বাড়িতে এসেছিলেন, তখনই মা’কে বলে গিয়েছিলেন, তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন৷ কিন্তু সেই ফেরা আর স্বাভাবিক হল না৷ এবার বাবলু ফিরবেন কিন্তু কফিনবন্দি অবস্থায়৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ