শুভঙ্কর বসু: রাজ্য সরকারের কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হল না। সোমবার এই নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে দীর্ঘ শুনানি চলে। মঙ্গলবার রাজ্যকে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে। তবে ডিএ দেওয়ার ক্ষেত্রে যে বিলম্ব হয়েছিল তা রাজ্যের পক্ষ থেকে জানান এজি।
[১৫০ বছর পর ‘সুপার ব্লু ব্লাড মুন’, রক্তাভ চাঁদে পড়বে গ্রহণের ছায়া]
মঙ্গলবার রাজ্য সরকারকে বেশ কিছু তথ্য জানাতে হবে আদালতে। তা হল:
১. রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কতটা ডিএ দেন এবং কোন তারিখে সেটা দেওয়া হয়?
২. ডিএ সরকারি বিজ্ঞপ্তি (জিও বা মেমো) কবে ইস্যু হয় এবং সেটা কবে সরকারি কর্মচারীদের দেওয়া হয়?
৩. রাজ্য সরকার ডিএ দিল অথচ সময়মতো দিল না। তার জন্য কোনও এরিয়ার দিচ্ছে কি রাজ্য সরকার?
রাজ্য সরকারকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন ডিএ মামলা শুনানি চলাকালীন কনফেডারেশন অফ স্টেট এমপ্লয়িজ-এর আইনজীবী সর্দার আমজাদ আলি আদালতে বেশ কিছু প্রশ্ন তোলেন। তাঁর বক্তব্য, কেন্দ্রের হারে রাজ্যে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ পাওয়ার কি অধিকার আছে? শুনানি চলাকালীন বিচারপতিরা মামলায় যে চারটি প্রশ্ন জানতে চেয়েছিলেন কনফেডারেশন ওফ স্টেট এমপ্লয়ীজ আইনজীবী এদিন ছিল শেষ প্রশ্ন। প্রথম প্রশ্ন ছিল যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ পাওয়ার অধিকার আছে? নাকি রাজ্য সরকারের দয়ার দান এটি। যেটা SAT আগে বলেছিল। যার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা হয়। ফেডারেশনে দাবি বকেয়া রয়েছে অনেকটাই। ২০১০ সালের শেষ অবধি ফারাক ৪৫% ছিল। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার ডিএ দেয় জানুয়ারি আর এপ্রিল মাসে। ২০০৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ডিএ দেয় এপ্রিল মাসে আর রাজ্য সরকার ডিএ দেয় ডিসেম্বর মাসে। ২০১০ জানুয়ারি ডিএ দেয় কেন্দ্রীয় সরকার আর রাজ্য দেয় এপ্রিল মাসে। এভাবেই ধীরে ধীরে বকেয়া জমতে থাকে। বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্ত ফেডারেশনের কাছে জানতে চান যখন কেন্দ্র ডিএ দিচ্ছে ১ লা জুলাই আর রাজ্য দিচ্ছে ১ লা ডিসেম্বর । যার ফলেই কি বকেয়া জমছে? রাজ্য সরকার কি এটা করতে পারে? যদি রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা কেন্দ্রীয় সরকারে কর্মচারীদের হারে যদি ডিএ পাওয়ার অধিকার না থাকে তাহলে কেন্দ্রীয় সরকার জানুয়ারি আর জুলাই এর কাঠামো লঘু হবে না । সুতরাং শেষ প্রশ্নের উত্তরই ভাগ্য নির্ধারণ করবে এই মামলার।
[দ্রতই বদলাতে পারে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের নাম]
এর আগে ডিএ মামলার শেষ শুনানি হয়েছিল ১২ জানুয়ারি। সেদিন আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন ২০১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের ৮৫ শতাংশ ডিএ বকেয়া আছে। এর উত্তরে এজি জানিয়েছিলেন এই ডিএ দেওয়া হয়েছে। তাঁর এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করেছিলেন আবেদনকারীদের আইনজীবী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.