Advertisement
Advertisement
রহস্যমৃত্যু

স্কুলের শৌচালয়ে রক্তাক্ত দেহ, ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য জি ডি বিড়লায়

হাতের শিরা কাটা অবস্থায় উদ্ধার দশম শ্রেণির ছাত্রীর দেহ৷

Deadbody of a student rescued from the tiolet of GD Birla School

ছবি: প্রতীকী

Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 21, 2019 7:07 pm
  • Updated:June 21, 2019 7:07 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল: ফের স্কুলের ভিতরে ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য কলকাতার নামী স্কুলে৷ শুক্রবার বিকেল নাগাদ রানিকুঠির জি ডি বিড়লা স্কুলের শৌচালয় থেকে উদ্ধার হয়েছে দশম শ্রেণির ছাত্রী কৃত্তিকা পালের অচৈতন্য দেহ৷ পুলিশ সূ্ত্রের খবর, তার হাতের শিরা কাটা ছিল৷ মুখে প্লাস্টিক জড়ানো ছিল৷ উদ্ধার হয়েছে ৩ পাতার একটি সুইসাইড নোটও৷ তাতে পারিবারিক অশান্তির কথা উল্লেখ ছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর৷

[আরও পড়ুন: শুশ্রূষার বদলে বৃদ্ধাকে মারধর! সিসিটিভিতে ধরা পড়ল নার্সের নির্মমতা]

কৃত্তিকাকে ওই অবস্থায় উদ্ধারের পর তাকে যোধপুর পার্কের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷ চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ প্রাথমিক অনুমান, শ্বাসরুদ্ধ হয়েই কৃত্তিকার মৃ্ত্যু হয়েছে৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ৷ একে একে সেখানে পৌঁছান ডিসি সাউথ, যুগ্ম কমিশনার এবং ফরেন্সিক দলের সদস্যরা৷ দ্রুতই নমুনা সংগ্রহ করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ৷

Advertisement

তবে এই ঘটনা ঘিরে উঠছে বেশ কিছু প্রশ্ন৷ দুপুর ২টো ১০ নাগাদ স্কুলের শৌচালয়ে কৃ্ত্তিকাকে ওই অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অন্তত ২০ মিনিট শৌচালয়ে হাতের শিরা কাটা অবস্থায় পড়েছিল সে৷ কেন এটা কারও চোখে পড়েনি, সেই প্রশ্ন উঠছে৷ পাশাপাশি, স্কুলে সিসিটিভির অবস্থান নিয়েও ধোঁয়াশা৷ সিসিটিভি থাকলে, শুক্রবার স্কুলে কৃত্তিকার গতিবিধি নজর করে গোটা বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা করতে সুবিধা হত বলে তদন্তকারী সূত্রে খবর৷ মুখের ভিতরে কেন প্লাস্টিক ছিল? উঠছে এই প্রশ্নও৷ এদিকে কৃত্তিকার কাছে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে পারিবারিক বিবাদের কথা উল্লেখ থাকায় আরও ধন্দে তদন্তকারীরা৷ তার বাবা, মা এবং পরিবারের সদস্যদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের কথাও ভাবা হচ্ছে৷

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভোররাতে বঙ্কিম সেতুতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে খুন, চাঞ্চল্য হাওড়ায়]

এর আগে বেশ কয়েকবার নানা অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে রানিকুঠির জি ডি বিড়লা স্কুল খবরের শিরোনামে এসেছে৷ কখনও ছোট ছাত্রীর শ্লীলতাহানির ঘটনা, কখনও স্কুলের ফি বৃদ্ধি নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে স্কুলের পরিস্থিতি৷ অভিভাবকদের চাপে পড়ে স্কুল চত্বরের ভিতরে অপ্রীতিকর ঘটনা নজর আনতে সিসিটিভি বসানো হয়েছে৷ কিন্তু তারপরও যে দুর্ঘটনা এড়ানো যায়নি, আজকের ঘটনাই তার প্রমাণ৷ ঘটনার পরিস্থিতি বিবেচনা করে দ্রুত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ