রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: উপহার হাতে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) বাড়িতে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। রয়েছেন সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো-সহ অন্য়ান্যরা। দিলীপের নিউটাউনেরর বাড়িতে বেশ কিছুক্ষণ থাকেন তাঁরা। দিলীপের হাতে তুলে দেন ফুল, উপহার। কথা বলেন দিলীপের মায়ের সঙ্গে। সংঘের সঙ্গে যুক্ত দিলীপ সংসারী! দল কী বলছে? এই প্রশ্ন উঠতেই সুকান্ত বললেন, “বিয়েতে আপত্তি কীসের?’
বৃহস্পতিবার থেকে চর্চায় দিলীপ ঘোষের বিবাহ (Dilip Ghosh Wedding) অভিযান। একে তো একষট্টিতে বিয়ে, তা ছাড়াও চারপাশে ঘুরপাক খাচ্ছে নানারকম প্রশ্ন। শোনা যাচ্ছিল, দল নাকি বারণ করেছিল বিয়েতে। কিন্তু সেসবকে তোয়াক্কা না করেই বিয়ের পিঁড়িতে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিলীপ। ফলে দলের লোকেরা বিয়েতে আসবেন কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছিলই। কিন্তু শুক্রবার সকালে দেখা গেল দিলীপের বাড়িতে হাজির রাজ্য বিজেপির সভাপিত সুকান্ত মজুমদার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, সুনীল বনশল, মঙ্গল পাণ্ডে-সহ অনেকে। সুকান্ত দিলীপের উপহার স্বরূপ তুলে দিলেন ফুল, মিষ্টি ও ধুতি। বেশ কিছুক্ষণ সেখানে ছিলেন তাঁরা। দিলীপবাবুর মায়ের পায়ে হাত দিয়ে প্রমাণ করেন সুকান্ত। তবে বিকেলে বিয়ের আসরে থাকতে পারবেন না তিনি।
দিলীপের বিয়ে (Dilip Ghosh Wedding) নিয়ে নানামহলে নানামত। তবে দল কী বলছে? সুকান্ত জানান, “এর আগে বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিতের বিয়ে দেখেছেন। বিয়েতে অস্বাভাবিক কিছু নেই। অনেক নেতাই বেশি বয়সে বিয়ে করেছেন। ওনাদের আগামী জীবন ভালো হোক। আমরা শুভেচ্ছা জানিয়েছি। একেবারে ঘরোয়াভাবে বিয়ে হবে। আমি বালুরঘাট চলে যাচ্ছি। খুব ঘনিষ্ঠ দু-একজন থাকবেন।” সংঘের প্রচারক থেকে কীভাবে বিয়ে? সেটাও খোলসা করলেন সুকান্ত। তিনি বলেন, সংঘের প্রচারককে যখন রাজনীতিতে দুভাবে পাঠানো হয়, একজন নেতা। অন্যজন সংগঠন মন্ত্রী। সংগঠন মন্ত্রীরা প্রচারক থাকেন। কিন্তু যারা সভাপতি বা অন্য় পদে আসেন, তাঁরা প্রচারক থাকেন না। উদাহরন হচ্ছেন, লালকৃষ্ণ আডবানী। এটাই সংঘের নিয়ম। এখানে সাংসারিক জীবনে আসতে কোনও সমস্যা নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.