সুব্রত বিশ্বাস: ‘গাছের খাব, তলারও কুড়াব।’ এমন নীতিতে ভর করে হাওড়া স্টেশনের ১৯টি স্টল চালাচ্ছিলেন ভেন্ডররা। এই অবৈধ নীতির ১৯টি স্টলই আজ ভেঙে দিল রেল। শনিবার এনিয়ে হাওড়া স্টেশন চত্বরে উত্তেজনা শুরু হয়। রেল স্টলগুলি অবৈধ ভাবে চলছে বলে অভিযোগ তুলে তা ভাঙা শুরু করে। বিজেপি পরিচালিত শ্রমিক ইউনিয়নের তরফে বাধা দিলে উত্তেজনা ছাড়ায়। পূর্ব রেলের ক্যাটারিং ভেন্ডর মোর্চার সহ সভাপতি চন্দ্রশেখর জানা অভিযোগ করেন, লাইসেন্স, মেডিক্যাল কার্ড থাকা সত্বেও ১৯টি স্টল ভেঙে দেয় রেল। প্রায় সত্তরজন মানুষ বেকার হয়ে পড়ল। অবিলম্বে এই মানুষগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
রেলের কমার্শিয়াল বিভাগ জানিয়েছে, লালুপ্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এক প্রস্তাব দেন, স্টল প্রতি একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। আবেদনের ভিত্তিতে সতেরো-আঠারোজনের চাকরি হয় রেলে। চাকরি পেলেও প্রস্তাব অনুযায়ী স্টলগুলি রেলকে হস্তান্তর না করে উত্তরসূরিদের দিয়ে চালানো শুরু করে। দীর্ঘ আট বছর এভাবে স্টলগুলো চালানোর পাশাপাশি তাঁরা চাকরিও করছেন। কর্মী সংগঠনের তরফে চন্দ্রশেখর জানা অভিযোগ করে বলেন, স্টলগুলি আগে বণ্টন হয়েছিল এমনভাবে যে একটি স্টল চালাতেন দুই বা তিনজন। কম বয়সি ভেন্ডর চাকরি পেলেও বয়ঃজেষ্ঠরা চাকরি পাননি। এই নীতিতে এবার বেকার হলেন তাঁরা। যদিও রেল জানিয়েছে, স্টল প্রতি একজনকে চাকরি দেওয়া হবে। কারণ, একটি স্টলের মালিক একজনই আছে খাতা-কলমে। ফলে সেই স্টলগুলি অবৈধ। স্টলগুলি ফাঁকা করে দিতে বলার পরও তা ফাঁকা না করায় এদিন বাধ্য হয়ে তা ভেঙে দেয় রেল। অবৈধ স্টল হলে কীভাবে এত বছর হাওড়া স্টেশনে তা চলছিল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এক শ্রেণির কমার্শিয়াল কর্মীদের সঙ্গে স্টল মালিকদের গোপন সমঝোতায় তা চলছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। কমার্শিয়াল বিভাগের কর্তারা স্টেশনের উপর নজর যেমন দেন না, তেমনই নিয়ম মেনে বহু কাজ তদারকি করেন না। ফলে বহু ক্ষেত্রে হয়রানি হতে হয় সাধারণ মানুষকে বলে অভিযোগকারীদের মত।
দেখুন স্টল ভাঙার ভিডিও-