Advertisement
Advertisement

Breaking News

Calcutta HC

সন্দেশখালি যেতে ‘বাধা’ বিরোধীদের, ‘আপনার দল ক্ষমতায় আসলেও করবে’ পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের

সন্দেশখালি যেতে 'বাধা'। কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। মামলা দায়েরের অনুমতি বিচারপতি কৌশিক চন্দের। মামলাকারীর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, "শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের যেতে দিচ্ছে পুলিশ, কিন্তু বাকিদের আটকানো হচ্ছে।"

Fact finding team appeals at Calcutta HC after stopped in Sandeshkhali । Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

Published by: Sayani Sen
  • Posted:February 27, 2024 11:17 am
  • Updated:February 27, 2024 3:58 pm

গোবিন্দ রায়: সন্দেশখালি যেতে ‘বাধা’ এবং গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। মামলা দায়েরের অনুমতি বিচারপতি কৌশিক চন্দের। মামলাকারীর আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, “শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের যেতে দিচ্ছে পুলিশ, কিন্তু বাকিদের আটকানো হচ্ছে।” বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, “সেটাই তো স্বাভাবিক যে শাসক দলের নেতাদের আটকানো হবে না। আপনার দল ক্ষমতায় এলে তারাও সেটাই করবে।” দুপুর ৩টেয় মামলার শুনানি।

রবিবার দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করে। ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিচারপতি নারসিমা রেড্ডি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম রেজিস্ট্রার রাজপাল সিং, ওপি ব্যাস, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কনসালট্যান্ট ভাবনা বাজাজ এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক। শনিবার রাতে ধর্মতলার একটি হোটেলে ছিলেন তাঁরা। প্রতিনিধি দলের দাবি, পুলিশের তরফে রবিবার সকালে তাঁদের একটি চিঠি দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকায় এখনও ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই আইন মোতাবেক তাঁদের গ্রামে ঢুকতে দেওয়া সম্ভব নয়। চিঠি হাতে পাওয়ার পর ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা স্পষ্ট জানান, তাঁরা গ্রামে যাবেন। যে এলাকাগুলিতে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে সেখানে তাঁরা দল বেঁধে যাবেন না। তাঁদের মধ্যে শুধুমাত্র ২ জন ওই গ্রামে ঢুকবেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দাউদাউ করে জ্বলছে বাইপাস লাগোয়া কাদাপাড়ার জুটমিল, কালো ধোঁয়ায় ঢাকল গোটা এলাকা]

এর পর ধর্মতলার হোটেল থেকে বেরন তাঁরা। সড়কপথে সন্দেশখালির উদ্দেশে রওনা দেন তাঁরা। তবে সন্দেশখালি থেকে প্রায় ৫২ কিলোমিটার দূরে ভোজেরহাটেই তাঁদের গাড়িকে আটকে দেয় কলকাতা পুলিশ। জানানো হয়, বসিরহাটের পুলিশ সুপারই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে সন্দেশখালি যাওয়ার পথেই আটকাতে বলেছেন। সেই অনুযায়ী পুলিশ ওই প্রতিনিধি দলের ৬ সদস্যকে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের সঙ্গে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। ভোজেরহাটে পথে বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। প্রথমে রাস্তা ফাঁকা করে দেওয়ার অনুরোধ জানান পুলিশকর্মীরা। যদিও পরে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁদের। টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের। গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এবার করোনার বলি খাস কলকাতার যুবক, বাড়ছে আতঙ্ক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ