Advertisement
Advertisement
Sanitizer

খাস কলকাতার বাজারে দ্রুত ছড়াচ্ছে ‘জাল’ স্যানিটাইজার! তদন্তে পুলিশ, আটক ১

মোট ৩৮০ লিটার ‘জাল’ স্যানিটাইজার উদ্ধার করা হয়েছে এরই মধ্যে।

‘Fake’ sanitizers are spreading rapidly in the market | Sangbad Pratidin

প্রতীকী ছবি।

Published by: Biswadip Dey
  • Posted:May 12, 2021 11:46 am
  • Updated:May 12, 2021 11:46 am  

স্টাফ রিপোর্টার: দোকানে প্লাস্টিকের জারের ভিতর সাজিয়ে রাখা নীল বা গোলাপি তরল মানেই কি স্যানিটাইজার (Sanitizers)? অথবা ছোট শিশি বা বোতলে করে যেগুলি বিক্রি হচ্ছে বাজারে? সেগুলি ব্যবহার করে কি করোনার ভাইরাসের (Coronavirus) হাত থেকে বাঁচা যাবে, নাকি শরীরের অন্য কোনও ক্ষতি হতে পারে? মধ্য কলকাতার এজরা স্ট্রিটে তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর স্যানিটাইজারের জার ও বোতল উদ্ধার হওয়ার পর এই প্রশ্নই তুলেছেন কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের গোয়েন্দা আধিকারিকরা।

গোয়েন্দাদের অভিযোগ, উদ্ধার হওয়া এই স্যানিটাইজার জাল। আর করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে জাল স্যানিটাইজারের কারবার চলাচ্ছে কয়েকটি চক্র। এই স্যানিটাইজার নিম্ন মানের ও ক্ষতিকর বলে অভিযোগ এসেছে গোয়েন্দাদের কাছে। এই তথ্য যাচাই করতে ওই স্যানিটাইজার পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কোথায় মিলবে টিকার দ্বিতীয় ডোজ? তালিকা দিল রাজ্য]

পুলিশ জানিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই খবর আসছিল যে, কলকাতায় চলছে নিম্নমানের স্যানিটাইজারের কারবার। উপর থেকে স্যানিটাইজারের মতো দেখতে হলেও আসলে সেগুলি জাল। বিষাক্ত মিথাইল অ্যালকোহল ও এমন কিছু জিনিস স্যানিটাইজারে মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে, তাতে শরীরের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকছে। ওই স্যানিটাইজার দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুলে ত্বকেরও ক্ষতি হচ্ছে।

এই তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের ইবির গোয়েন্দারা মধ্য কলকাতার ক্যানিং স্ট্রিট ও এজরা স্ট্রিটের বিভিন্ন দোকান ও গোডাউনে ক্রেতা সেজে খোঁজখবর শুরু করেন। তাঁরা এজরা স্ট্রিটের একটি দোকানে হানা দেন। দেখেন, প্রচুর জার ও বোতলে রাখা আছে নীল রঙের স্যানিটাইজার। ওই স্যানিটাইজারগুলি কোনও বিশেষ ব্র্যান্ডের নয়। লেবেলে একটি অপরিচিত সংস্থার নাম লেখা। কীভাবে ওই স্যানিটাইজার তৈরি করা হয়েছে, সেই সম্পর্কেও কিছু উল্লেখ করা নেই। যদিও লেবেলে এই স্যানিটাইজার কেন ‘উৎকৃষ্ট’, সেই সম্পর্কে অনেক কিছুই ব্যাখ্যা করা আছে।

পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, আধ লিটার, এক লিটার, পাঁচ লিটারের বোতল ও জারে রাখা ছিল ওই স্যানিটাইজার। আবার ১০০ মিলিলিটারের ছোট শিশিতেও বিক্রি হচ্ছে এই নিম্নমানের ‘জাল’ স্যানিটাইজার। দোকান ও গোডাউনে হানা দিয়ে মোট ৩৮০ লিটার ওই স্যানিটাইজার পুলিশ উদ্ধার করে। এক ব্যক্তিকে আটক করে জেরা করা হচ্ছে।

গোয়েন্দাদের মতে, করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েই কলকাতার কয়েকটি বেআইনি কারখানায় তৈরি হচ্ছে জাল স্যানিটাইজার। অভিযোগ, অনেক সময় আবার পরিচিত কোনও ব্র্যান্ড ব্যবহার করছে ওই চক্র। ব্র্যান্ডের নাম ও লোগো এমনভাবে পাল্টাচ্ছে যে, তা সাধারণভাবে ক্রেতাদের চোখেও পড়ছে না। অনেকেই কেনার পর বুঝতে পারছেন যে, সেগুলি জাল।

[আরও পড়ুন: আপার প্রাইমারির ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশের সময় পার, রক্ত দিয়ে চিঠি চাকরিপ্রার্থীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement