সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বানতলার লেদার কমপ্লেক্সের গুদামে ভয়াবহ আগুন। ইতিমধ্যেই ভস্মীভূত দুটি গুদাম। কালো ধোঁয়ায় ঢেকেছে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলে রয়েছে দমকলের সাতটি ইঞ্জিন। তবে পাঁচটি ইঞ্জিন লেদার কমপ্লেক্স এলাকার কয়েকটি পকেট নির্দিষ্ট করে আগুন নেভানোর কাজ করছে। আরও দশটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। এলাকা ঢেকেছে ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে। তবে চারিদিকে এত প্লাস্টিকের সরঞ্জাম রয়েছে যে আগুন মুহূর্মুহূ ছড়াচ্ছে। তাই পকেট ফায়ার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা। দুপুর দু’টোর আশপাশেই আগুন লাগে লেদার কমপ্লেক্স চত্বরে। ৩.৩০ মিনিটের পর সেখানে পৌঁছায় দমকল। বাসিন্দারা দমকলের দেরিতে পৌঁছানো নিয়ে অভিযোগ করেছেন। তবে ততক্ষণে আগুন বিশালাকার ধারণ করেছে।
এদিকে ওই লেদার কমপ্লেক্সের আশপাশে কোনও জনবসতি না থাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে দমকল। নাহলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হত বলেই দাবি প্রত্যক্ষদর্শীদের। বলাবাহুল্য, সময় যত এগোচ্ছে আগুনের পরিধিও তত বেড়ে চলেছে। সাতটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে কাজ করছে। তবে আরও ১০টি ইঞ্জিন বানতলার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি কাজ করছে দমকল বাহিনী। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ঘটনাস্থলের চারপাশেই প্লাস্টিকের ছড়াছড়ি। প্রায় ছ’ফুট সাতফুট উচ্চতার প্লাস্টিকের ঢিপি। ইতিমধ্যেই অনেক ঢিপি আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না এলে আরও অনেক ঢিপিতে আগুন লাগতে পারে। তাই বিভিন্ন পকেটে আগুন নেভানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন দমকলকর্মীরা। অন্তত এই মূর্তিমান প্লাস্টিকের ঢিপিগুলিকে যাতে এড়ানো যায়। সেই জন্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ফোম।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুপুর দু’টোর আশপাশেই প্রথম লেদার কমপ্লেক্সের একটি গুদামে আগুন লাগে। লাগোয়া মাঠে বাচ্চারা খেলছিল। তারাই বড়দের খবর দিলে দমকলে ফোন করা হয়। তবে দমকলের অপেক্ষায় বসে থাকেননি স্থানীয়রা। নিজেরাই আগুন নেভাতে কাজে নেমে পড়েন। দাহ্য পদার্থে ভরতি গুদাম ভস্মীভূত হতে সময় নেয়নি। পাশের গুদামটিও গ্রাস করে নেয় আগুনের লেলিহান শিখা। ততক্ষণে বালতি বালতি জল নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছেন তাঁরাই। বার বার দমকলে ফোন করেও কোনও সাড়া শব্দ মেলেনি বলে অভিযোগ। ৩.৩০ মিনিটের পর দমকল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। গোটা এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলীতে অন্ধকার নেমেছে বানতলায়। দমকল সূত্রের খবর, কী থেকে আগুন লাগল এখন স্পষ্ট নয়। তবে এত প্লাস্টিকের সরঞ্জাম যেখানে মজুত রয়েছে, সেখানে ঠিকমতো অগ্নিনির্বাপণের ব্যবস্থা ছিল কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। গোটা ব্যবস্থাই খতিয়ে দেখতে ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করা হবে। আগুন এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে এলেও নিভতে দেরি আছে। তবে যেহেতু চারিদিকে প্লাস্টিকের উপস্থিতি বিদ্যমান, তাই কুলিং প্রসেস জারি থাকবে দীর্ঘক্ষণ।
ছবি : বিশ্বজিৎ নস্কর
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.