সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জুতোর শোলের মধ্যেই আটকানো লক্ষাধিক ইউরো। নিরাপত্তাকর্মীদের চোখে ধুলো দিয়ে তা নিয়েই বিমানে ওড়ার ছক ছিল পাচারকারীদের। কিন্তু হাঁটার দোষেই ভেস্তে গেল পাচারের পরিকল্পনা। বুধবার সকালে দমদম বিমানবন্দরে পাকড়াও হল দুই পাচারকারী যুবক।
[ সম্পত্তির লোভে প্রতিবন্ধী বোনকে খুন দিদির, ধুন্ধুমার বেহালায় ]
জানা যাচ্ছে, ব্যাংককের বিমান ধরার অপেক্ষায় ছিল দুই যুবক। দুজনই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। বিমানবন্দরে যখন তারা হাঁটছিল, তখন হাঁটার ধরন দেখেই সন্দেহ হয় নিরাপত্তাকর্মীদের। তাদের হাঁটার অস্বাভাবিকতা নজরে পড়ে গোয়েন্দাদেরও। তল্লাশি চালিয়েই উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রা। দুই যুবকের জুতোর শোলের তলায় আটকানো ছিল প্রায় ১ কোটি ৭২ লক্ষ ইউরো। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য কোটি টাকারও বেশি। ওই অর্থ বাজেয়াপ্ত করেছে শুল্ক দপ্তর। আটক করা হয়েছে দুই যুবককে। কেন তারা ইউরো লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল, ব্যাংকক থেকে তা কোথায় পাচার হচ্ছিল, তা নিয়েই চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। তবে এর নেপথ্যে বড়সড় পাচারচক্র সক্রিয় আছে বলেই মনে করা হচ্ছে। দুই উত্তরপ্রদেশের যুবক ভাড়াটিয়া পাচারকারীর মতোই কাজ করেছে। তাদের সূত্র ধরেই পারাচক্রের মূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
[ পোশাক পরীক্ষার অছিলায় শরীরে হাত, স্কুলেই নাবালিকা ছাত্রীকে যৌন হেনস্তা ]
কিছুদিন আগেই দমদম বিমানবন্দরে সোনা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েন এক মহিলা। নিজেকে দিল্লির বাসিন্দা ও পড়ুয়া বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর শরীরেরও অস্বাভাবিক বস্তুর উপস্থিতি টের পান গোয়েন্দারা। শেষমেশ বিশেষ প্রক্রিয়ায় মহিলার পায়ুদ্বার থেকে উদ্ধার হয় একশো গ্রামেরও বেশি সোনা। তারপরই ঘটল এই বিদেশি মুদ্রা পাচারের ঘটনা। গোয়েন্দা নজরদারি ছিল বলেই তা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তবে যেভাবে নিরাপত্তার চোখে ধুলো দিয়ে বারবার পাচারের ছক কষা হচ্ছে তা ভাবনার অবকাশ রাখে। দমদম বিমানবন্দরকে পাচারের করিডর করা হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা।
[ রেলের ক্যান্টিনে মদ্যপানের আসর টিকিট পরীক্ষকদের, তুলকালাম হাওড়ায় ]