ছবি: প্রতীকী
দীপালি সেন: সল্টলেকের (Salt Lake) গেস্ট হাউসে যুবকের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় এবার গ্রেপ্তার বান্ধবী। শুক্রবার গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাঁর অরিজিৎ পাত্র নামে এক বন্ধুকে। জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন মাঝরাতে অরিজিৎ ১০ মিনিটের জন্য নাকি গেস্ট হাউসে এসেছিল। ফলে এই ঘটনার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে বান্ধবীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তবে কোথা থেকে গ্রেপ্তার করেছে, সে বিষয়ে এখনও মুখ খোলেনি বিধাননগর পুলিশ (Bidhannagar Police)।
পুরুলিয়ার (Purulia) তুলিনের বাসিন্দা বছর পঁচিশের রনি দত্তকে সল্টলেকের এফই ব্লকের একটি গেস্ট হাউস থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গলায় ওড়না জড়ানো ছিল। পাশে অচৈতন্য অবস্থায় ছিলেন তাঁর বান্ধবী অনুশীলা চৌধুরী, তাঁর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। মাস দুই ধরে তাঁরা ওই গেস্ট হাউসে লিভ-ইন (Live in relationship) বলে খবর। যুবকের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে নামে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ। গ্রেপ্তার হয় রনির বন্ধু কোন্নগরের (Konnagar) বাসিন্দা অরিজিৎ। তদন্তকারীদের অনুমান, অরিজিতের সঙ্গে অনুশীলার সম্প্রতি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। তা নিয়ে অনুশীলা ও রনির মধ্যে গন্ডগোল শুরু হয় এবং ওই রাতে দু’জনের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়।
মৃত যুবক রনি দত্তের দাদার অভিযোগ, তার ভাই ও ভাইয়ের প্রেমিকার মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবেই ছিলেন অরিজিৎ দত্ত। তা নিয়ে যুগলের মধ্যে অশান্তিও হত। সেদিন রাতেও গন্ডগোলের মাঝে ধস্তাধস্তিতে হাত ভেঙে গিয়েছে তরুণীর। সকালে উদ্ধার হয় রনির দেহ। মৃতের পরিবারের দাবি, প্রেমিকা, তাঁরা দাদা নির্ঝর চৌধুরী ও নতুন ‘প্রেমিক’ অরিজিৎ – তিনজনই দায়ী রনির মৃত্যুর জন্য। এই তিনজনের বিরুদ্ধে মৃত যুবককে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে পরিবার। দায়ের হয়েছে মামলা।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, রনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। আর তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়েছে বান্ধবী ও আরও ২ জন। ঠিক কী ঘটেছিল, বান্ধবীকে গ্রেপ্তারের পর তাই রহস্যের জট অনেকটাই খোলা যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.